ভারত-পাকিস্তান আলোচনায় সৌদি আরবই উপযুক্ত স্থান – DesheBideshe

ভারত-পাকিস্তান আলোচনায় সৌদি আরবই উপযুক্ত স্থান – DesheBideshe


ভারত-পাকিস্তান আলোচনায় সৌদি আরবই উপযুক্ত স্থান – DesheBideshe

ইসলামবাদ, ২২ মে – পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বুধবার বলেছেন, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আলোচনার জন্য সৌদি আরব ‘নিরপেক্ষ’ স্থান হতে পারে। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি পিএমএল-এন সভাপতি নওয়াজ শরীফের পরামর্শ নিয়েছেন বলেও জানান পাক প্রধানমন্ত্রী। খবর দ্য ডন’র

পাক প্রধানমন্ত্রী ভবনে টেলিভিশন উপস্থাপকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন,‘ভারতের সঙ্গে আলোচনার সময় কাশ্মীর, পানি, বাণিজ্য এবং সন্ত্রাসবাদ মূল বিষয় হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাবের আলোকে আলোচনার জন্য তৃতীয় স্থানের সম্ভাবনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পাক প্রধানমন্ত্রী চীনকে নিরপেক্ষ স্থান হিসেবে রাখার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ভারত কখনই এতে রাজি হবে না।

তবে শেহবাজ শরীফ আশা প্রকাশ করেছেন, সৌদি আরব তৃতীয় দেশ হতে পারে যেখানে উভয় পক্ষ আলোচনা করতে সম্মত হতে পারে। যখন বলা হয়েছিল যে ভারত সন্ত্রাসবাদের উপর আলোচনা করতে চায়, অন্যদিকে পাকিস্তান কাশ্মীরের উপর জোর দিতে চায়, তখন প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘পাকিস্তান-ভারত আলোচনার মূল বিষয় হবে কাশ্মীর, পানি, বাণিজ্য এবং সন্ত্রাসবাদ।’

ফিল্ড মার্শাল হিসেবে সেনাপ্রধান জেনারেল মুনিরের নিয়োগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, ‘সেনাপ্রধানকে ফিল্ড মার্শাল করা আমার নিজের সিদ্ধান্ত।’

নওয়াজ শরীফ সর্বদা সেনাপ্রধানের মেয়াদ বৃদ্ধির বিরোধিতা করেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, ‘যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনি তার বড় ভাইকে আস্থায় নিয়েছিলেন এবং একইভাবে ক্ষমতাসীন দলের সভাপতির সাথে পরামর্শ করেই সেনাপ্রধানকে ফিল্ড মার্শাল করা হয়েছিল।’

“আমি যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সর্বদা নওয়াজ শরীফের সাথে পরামর্শ করি এবং জেনারেল আসিম মুনিরের পদোন্নতির ক্ষেত্রেও তা ঘটেছিল,”উল্লেখ করে পাক প্রধানমন্ত্রী।

সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের প্রচেষ্টায় পিটিআই-নেতৃত্বাধীন কেপি সরকারকে সমর্থন করা প্রয়োজন এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেন্দ্র ইতিমধ্যেই এই প্রদেশকে এই বিষয়ে সাহায্য করছে কারণ পাবলিক সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের অধীনে কেপি সরকারকে ৬০০ বিলিয়ন টাকারও বেশি অর্থ দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, পাকিস্তান ও ভারতের ডিজিএমওরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করার পর পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। তিনি বলেন, যদি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে আলোচনা হয়, তাহলে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এই প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের পক্ষের নেতৃত্ব দেবেন।

সূত্র: বার্তা২৪.কম
আইএ/ ২২ মে ২০২৫

 



Scroll to Top