ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ বৃষ্টির পর ভূমিধস ও বন্যায় অন্তত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৫০ জনের বেশি নিখোঁজ রয়েছেন।
মঙ্গলবার ৫ আগস্ট খীরগঙ্গা নদীর উৎস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভয়াবহ কিছু দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, পাহাড় থেকে প্রচণ্ড গতিতে নেমে আসা পানির স্রোত উত্তর কাশীর ধারালি গ্রামমুখে ধেয়ে এসে ঘরবাড়ি ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের তোলা ভিডিওতে আতঙ্কিত মানুষের চিৎকারও শোনা গেছে।
উত্তর কাশী পুলিশ ঘটনার পরপরই ধ্বংসস্তূপের কিছু ছবি প্রকাশ করে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের নদী থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকার আহবান জানায়।
তারা বলেছে, “এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকলেরই উচিত নদী থেকে দূরে থাকা। নিজে, শিশু ও গবাদিপশুদেরও নদী থেকে দূরে রাখুন।”
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী জানিয়েছেন, উদ্ধার তৎপরতায় এনডিআরএফ, এসডিআরএফ ও জেলা প্রশাসনের দলগুলো যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে কাজ করছে।
তিনি এক্স-এ (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, “উত্তরকাশীর ধারালি এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির খবরে আমি অত্যন্ত শোকাহত ও মর্মাহত। উদ্ধার ও ত্রাণকাজে সংশ্লিষ্ট সব বাহিনী সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি এবং পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সবার নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করি।”
এই বর্ষা মৌসুমে উত্তরাখণ্ডে টানা ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। হরিদ্বারে গঙ্গা সহ বড় বড় নদীগুলো প্রবল স্রোতে উপচে পড়ছে। সোমবারও বর্ষাজনিত ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয় এবং রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় পাহাড় ধসে দুটি দোকান বোল্ডার ও ধ্বংসাবশেষে চাপা পড়ে।
রোববার উদম সিং নগর জেলায় লেভড়া নদী ও এর শাখা নদীগুলোর পানি বেড়ে যাওয়ায় প্লাবিত হয় রামপুর-নৈনিতাল মূল সড়ক ও সংলগ্ন চকরপুর, লক্ষণপুর, মুরিয়া পিস্টোর এবং বড়হাইনি গ্রামের বহু এলাকা।
ভারতের আবহাওয়া দফতর মঙ্গলবার উত্তরাখণ্ডের জন্য ‘লাল সতর্কতা’জারি করেছে—যা চরম মাত্রার বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস।
সপ্তাহজুড়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে ‘হলুদ সতর্কতা’ও দেওয়া হয়েছে।