ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হওয়া দুই মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ ২২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে ৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ২ জুলাই সকাল ৭টার দিকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা ইউনিয়নের বাঁশিয়া এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে নিখোঁজ দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনরা।
নিহতরা হল কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরআলগী এলাকার হাবিব মিয়ার ছেলে আবির (৭) ও মুমতাজ উদ্দিনের ছেলে জুবায়েদ (৬)। তারা বিরুই নদীর পাড় দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিলেন।
চরফরাদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভোরে স্বজনরা নৌকা নিয়ে নদে খুঁজতে বের হয়ে বাঁশিয়া এলাকায় মরদেহ দুটি ভেসে থাকতে দেখে উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহগুলো প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে পাওয়া যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পাকুন্দিয়ার চরআলগী এলাকা থেকে নয়জন শিক্ষার্থী একটি ছোট নৌকায় ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে মাদ্রাসায় যাচ্ছিল। ময়মনসিংহের দত্তের বাজার সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছানোর আগেই নৌকাটি ডুবে যায়।
নৌকায় থাকা নয়জনের মধ্যে ছয়জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও তিন শিশু নদে ডুবে যায়।
মঙ্গলবার দুপুরে নিখোঁজদের মধ্যে শাপলা আক্তার (১৫) নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। শাপলা পাকুন্দিয়ার চরআলগী গ্রামের মাইনুদ্দিনের মেয়ে।
গফরগাঁও পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, “মঙ্গলবার এক শিশুর লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বুধবার সকালে উদ্ধার হওয়া দুই শিশুর মরদেহও আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”