হংকংয়ের সোথবি’স-তে এবার নিলামে উঠানো হচ্ছে আধুনিক যুগের সবচেয়ে আশ্চর্যজনক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর অন্যতম রত্ন ভাণ্ডার, যার মধ্যে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সাথে যুক্ত রত্নও রয়েছে।
রোববার (৪ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী বুধবার এ রত্ন ভাণ্ডার নিলামে উঠানো হবে। যদিও এরই মধ্যে এটি নিয়ে নীতিগত বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৮৯৮ সালে উত্তর ভারতের একটি ধুলোময় ঢিবি থেকে আবিষ্কৃত এই ধ্বংসাবশেষগুলো এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে ব্রিটিশ এক ব্যক্তির ব্যক্তিগত সংগ্রহে সংরক্ষিত আছে। এখন এই রত্নগুলো তাদের রক্ষকদের হেফাজত ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অন্যদিকে এগুলো কেবল সংগ্রাহকদের ক্ষুধাই নয়, কিছুটা অস্বস্তিও জাগিয়ে তুলছে।
নকশা করা সোনার পাতার একটি চকচকে ভাণ্ডার থেকে উদ্ধার হওয়া এই রত্নগুলোর মধ্যে রয়েছে, এক হাজার ৮০০ মুক্তা, রুবি, পোখরাজ, নীলকান্তমণি। এগুলো প্রথমে ভারতের উত্তর প্রদেশে বুদ্ধের জন্মস্থানের কাছে একটি ইটের ঘরের গভীরে দেখা গিয়েছিল।
সোথবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান এবং এশিয়ান আর্টের প্রধান নিকোলাস চৌ বিশ্বাস করেন যে এটি ‘সর্বকালের সবচেয়ে অসাধারণ প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মধ্যে একটি’।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যখন এই ধ্বংসাবশেষগুলো নিলাম কক্ষের ঝলমলে আলোর মুখোমুখি হতে যাচ্ছে, তখন বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে একটি প্রশ্ন ভারী হয়ে উঠছে: ভারতের পবিত্র অতীতের সাথে এত ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত এই সম্পদের বিক্রয় কি নীতিগত বলে বিবেচিত নয়?
১৮৯৮ সালে একজন ইংরেজ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় একটি স্তূপ খনন করেছিলেন, যেখানে বুদ্ধের জন্ম হয়েছিল বলে বিশ্বাস করা হয়। প্রায় দুই হাজার বছর আগে খোদাই করা এবং পবিত্র করা ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কারও করেছিলেন তিনি।