বুটজোড়া তুলে রাখার ঘোষণা দিলেন মার্সেলো | চ্যানেল আই অনলাইন

বুটজোড়া তুলে রাখার ঘোষণা দিলেন মার্সেলো | চ্যানেল আই অনলাইন

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

গত নভেম্বরে কোচের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে ফ্লুমিনেন্স অধ্যায় শেষ করেন মার্সেলো। ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি বাতিলের তিন মাস পর এবার ফুটবলকে বিদায় বলে দিলেন ব্রাজিল ও রিয়াল মাদ্রিদের তারকা ডিফেন্ডার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় অবসরের ঘোষণা দেন ৩৬ বর্ষী মার্সেলো। বলেন, ‘একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমার গল্পটা এখানেই শেষ। তবে ফুটবলে এখনও দেওয়ার মতো আমার অনেক কিছু আছে। সব কিছুর জন্য ধন্যবাদ।’

জাতীয় দলের হয়ে খুব বেশি সাফল্য না পেলেও, ক্লাবে মার্সেলোর ক্যারিয়ার ছিল বর্ণাঢ্য। ২০০৭ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে রিয়ালে যোগ দিয়েছিলেন এই লেফটব্যাক। দীর্ঘ ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে ২৫টি শিরোপা জিতেছেন। স্মরণ করলেনে সেই স্মৃতিও।

‘১৮ বছর বয়সে রিয়াল মাদ্রিদ আমার দুয়ারে কড়া নেড়েছিল এবং আমি এখানে পা রাখি। এখন মাথা উঁচু করে বলতে পারি, আমি একজন সত্যিকারের মাদ্রিদ ভক্ত। স্ত্রীকে এখানে আমি পরিবার গড়েছি। ১৬ মৌসুমে জিতেছি ২৫টি টাইটেল, রয়েছে পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগও। (সান্তিয়াগো) বার্নাব্যুতে অনেক স্মরণীয় মুহূর্ত পেয়েছি।’

ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে মোট ৫৮ ম্যাচ খেলেছেন, গোল করেছেন ৬টি। সেলেসাওদের জার্সিতে ২০১৩ সালে ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ, ২০০৮ অলিম্পিকসে ব্রোঞ্জ ও ২০১২ অলিম্পিকসে রুপা জয়ী দলেও ছিলেন মার্সেলো। সেই স্মৃতি স্মরণ করে এই তারকা ডিফেন্ডার বলেন, ‘ব্রাজিলের হয়ে খেলতে পারা সবসময়ই গর্বের। দুটি অলিম্পিক মেডেল ও কনফেডারেশন ট্রফি আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

২০০৫ সালে ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সে সিনিয়র ফুটবলে অভিষেক হয় মার্সেলোর। ২০০৭ সালে পাড়ি জমান রিয়াল মাদ্রিদে। সেখানে ১৫ বছর কাটিয়ে ২০২২ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পর রিয়াল ছাড়েন। এরপর গ্রিক ক্লাব অলিম্পিয়াকোসে পাঁচ মাস ছিলেন। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে মার্সেলো ফিরে যান ফ্লুমিনেন্সে। ওই বছর দলটির হয়ে কোপা লিবের্তাদোরেস ও রিও দে জেনেইরো স্টেট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেন। যদিও শৈশবের ক্লাবটিতে শেষটা সুখের হয়নি তার। কোচ মানো মেনেজেসের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে চুক্তি বাতিল করেন। এরপর আর কোনো ক্লাবে যোগ দেননি তিনি।

Scroll to Top