
বিশ্বকাপে এখনও পাকিস্তান দল আশানুরূপ কিছু দেখাতে পারেনি। প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের পর যে হারের বৃত্তে দলটি ঢুকেছে, তা থেকে মেলেনি মুক্তি। আরও ৩ টি ম্যাচ বাকি আছে দলটির। সেমিফাইনালের রঙও ধূসর হয়ে গেছে। আগামীকাল পাকিস্তান লড়বে বাংলাদেশের বিপক্ষে, এরমধ্যে দলটির প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হক পদত্যাগ করলেন।
পাকিস্তানি মিডিয়ার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, ইনজামাম যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ‘ইয়াজু ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানির চারজন সক্রিয় পরিচালকের একজন। কোম্পানির আরেক পরিচালক হলেন ‘সায়া কর্পোরেশন’ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তালহা রেহমানি, এটি একটি সংস্থা যা পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বেশ কিছু খেলোয়াড়ের ‘এজেন্ট’ হিসেবে কাজ করে।
বাবর আজম, শাহীন শাহ আফ্রিদি এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান সহ বিশিষ্ট কিছু খেলোয়াড়রা এর সাথে যুক্ত। যুক্তরাজ্য সরকারের একটি পাবলিক সেক্টর তথ্য অনুসারে, রিজওয়ান ইনজামামের পাশাপাশি ইয়াজুতেও পরিচালকের দায়িত্বে আছেন। এই বিষয়গুলি এতদিন খুব একটা সামনে আসেনি, ছিল না প্রকাশ্যমান। তবে ইদানীং এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, দলের প্রধান নির্বাচক ও খেলোয়াড় একই কোম্পানির পরিচালক থাকাটা কোন প্রভাব রাখছে কি না।
মূল বিষয়টি স্বার্থের দ্বন্দ্ব। এমনই প্রশ্ন উঠেছে।
“মিডিয়ায় উত্থাপিত স্বার্থের দ্বন্দ্বের অভিযোগের বিষয়ে পিসিবিকে একটি স্বচ্ছ তদন্ত করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি নিজের পদ থেকে সরে যাচ্ছি।”
ইনজামাম উপরের এই বিবৃতি দিয়েছেন আজ। তিনি এটিও বলেছেন, পিসিবি যদি তাঁর বিষয়ে পরিষ্কার থাকে ও তাঁকে দোষী হিসেবে প্রমাণিত করতে না পারে, সেক্ষেত্রে উপরিউক্ত পদে বহাল থাকতে তিনি রাজি আছেন।
“যদি কমিটি আমাকে দোষী না বলে মনে করে, আমি প্রধান নির্বাচক হিসাবে আমার ভূমিকা আবার শুরু করব।”