আঙ্কারা, ২৫ জুলাই – তুরস্ক থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পথে গত ১৩ জুলাই এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। তবে বিমানের ভেতর মৃত্যু হওয়া সেই ব্যক্তির মরদেহ উধাও হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ব্যক্তিরা জানেন না মরদেহটি কোথায় আছে।
তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোগামী বিমানটি গ্রিনল্যান্ডের উপর থাকার সময় এ ব্যক্তি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রাথমিক অবস্থায় আইসল্যান্ডের কেফলাভিক বিমানবন্দরে বিমান জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কিন্তু যাত্রীর মৃত্যু হওয়ায় উত্তর আমেরিকার আকাশসীমা থেকে বিমানটি বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
অ্যাভিয়েশন এ২জেড-এর তথ্য অনুযায়ী, যদি অসুস্থ কোনো যাত্রীর মৃত্যু হয় তাহলে বিমান জরুরি অবতরণের প্রয়োজনীয়তা কমে আসে।
বিমানটি যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় প্রবেশের পর ক্রুরা এটি শিকাগোর ও’হারে বিমানবন্দরে অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। বড় এ বিমানবন্দরটি আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা রয়েছে। যেখানে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সহজ।
শিকাগোতে অবতরণের পর বিমান থেকে যাত্রীর মরদেহটি নামানো হয়। সেখান থেকে এটি শিকাগোর কুক কাউন্টির মেডিকেল পরীক্ষকের অফিসে নেওয়ার কথা।
তবে মেডিকেল পরীক্ষকের মুখপাত্র নাতালিয়া দেরেভানি জানিয়েছেন, তারা কোনো মরদেহই পাননি।
বিমানটি ছিল তার্কিস এয়ারলাইন্সের। তাদের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টকে জানিয়েছেন, শিকাগোতে মরদেহটি নামানোর পর সেটি সান ফ্রান্সিসকোর অপর একটি বিমানে তুলে দেওয়া হয়। তিনি এর বিস্তারিত আর কিছু জানাননি।
বর্তমানে মরদেহটি কোথায় আছে সেটি এখনো অজানা।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
এনএন/ ২৫ জুলাই ২০২৫