বিমানবন্দরে সাফজয়ী কৃষ্ণাদের লাগেজ ভেঙে ডলার-টাকা চুরি!

বিমানবন্দরে সাফজয়ী কৃষ্ণাদের লাগেজ ভেঙে ডলার-টাকা চুরি!
বিমানবন্দরে সাফজয়ী কৃষ্ণাদের লাগেজ ভেঙে ডলার-টাকা চুরি!

সময়ের কন্ঠস্বর ডেস্ক: বিমানবন্দরে সাফজয়ী বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের দুই সদস্য কৃষ্ণা রানি সরকার ও শামসুন্নাহারের লাগেজ ভেঙে ডলার ও টাকা চুরি হয়েছে। দুজনের প্রায় দেড় লাখ টাকার মতো খোয়া গেছে। এ ছাড়া দলের অন্যান্য সদস্যের লাগেজও পাওয়া গেছে ভাঙা অবস্থায়।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে ফুটবলারদের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ‍ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

এর আগে বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর এ ঘটনা ঘটে।

বুধবার বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সাবিনারা প্রবেশ করলে কেক কেটে ও ফুল দিয়ে তাদের বরণ করে নেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, যুব ও ক্রীড়াসচিব এবং মন্ত্রণালয় ও বাফুফে কর্মকর্তারা।

নেপালে ইতিহাস গড়ে বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল (রাহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখে সাবিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এরপর সেখান থেকে রাজসিক সংবর্ধনা দিয়ে ছাদখোলা বাসে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় বাফুফে ভবনে। এর মধ্যে বিমানবন্দরে ঘটে এক অপ্রীতিকর ঘটনা। কৃষ্ণাদের লাগেজ ভেঙে ডলার, টাকা ও উপহারসামগ্রী চুরির ঘটনা ঘটে।

বাফুফের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ সাফজয়ী নারী দলের সদস্য কৃষ্ণা রানি সরকারের ব্যাগ থেকে ৫০০ ডলার (প্রায় ৫২ হাজার টাকা) এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা চুরি হয়ে গেছে। সামসুন্নাহার সিনিয়রের ব্যাগ থেকে হারিয়েছে ৪০০ ডলার (প্রায় ৪২ হাজার টাকা)।

অন্যদিকে মার্জিয়ার ব্যাগ থেকে কিছু সংখ্যক নেপালি মুদ্রা হারানোর কথা জানিয়েছেন দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। এ ছাড়াও অনেকের লাগেজের তালা ভাঙা ছিল বলেও জানানো হয়। যেখানে শাড়ি, প্রসাধনীসহ মূল্যবান উপহার সামগ্রী ছিল বলে জানা যায়।

সারাদিনের সংবর্ধনা ও ক্লান্তি শেষে ফুটবলাররা যখন লাগেজ হাতে পান, তখন বিষয়টি নজরে আসে তাদের।

এর আগে গতকাল দেশের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন সাবিনারা। রাস্তার দুই ধারে যতদূর চোখ যায় শুধু মানুষ আর মানুষ। তীব্র গরম উপেক্ষা করেই সাফজয়ী অদম্য সাবিনা-সানজিদাদের একনজর দেখতে আর শুভেচ্ছা জানাতে সকাল থেকেই বিমানবন্দর এলাকায় ভিড় করতে থাকেন ক্রীড়াপ্রেমী সমর্থকরা। সময় যত গড়িয়েছে, মানুষের ভিড় তত বেড়েছে।

বিমানবন্দরে একদফা সংবর্ধনা শেষে ছাদখোলা বাসে চড়ে মতিঝিলের বাফুফে ভবনে যাওয়ার পথে মানুষের ভিড়ে গাড়ি যেন এগোচ্ছিলই না। উৎসুক জনতাকে নিরাশ করেননি ইতিহাসগড়া মেয়েরা। ভ্রমণের ক্লান্তি উপেক্ষা করেই সারাটা সময় হাত নাড়িয়ে ট্রফি উঁচিয়ে অভিবাদনের জবাব দিয়ে গেছেন তারা।

Scroll to Top