আগামী ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) হীরক জয়ন্তী অর্থাৎ ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে বিটিভি নির্মাণ করেছে বিশেষ নাটক। ‘সোনার সিন্দুক’ নামের সেই নাটকটি প্রচার হবে ২৫ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৫ মিনিটে। আর তাতে প্রধাণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নন্দিত মডেল ও অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌ। তাকে দেখা যাবে দ্বৈত চরিত্রে। মৌয়ের বিপরীতে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা গোলাম কিবরিয়া তানভীর।
এ প্রসঙ্গে সাদিয়া ইসলাম মৌ বলেন, ‘দর্শক জানেন, আমি অভিনয় করি খুব কম। যে নাটকের গল্প মনের মতো হয় শুধু সেটিতেই অভিনয় করি। তাই টিভি খুললেই আমাকে দেখা যায় না। সেদিক থেকে, ‘সোনার সিন্দুক’ নাটকের গল্পটি আমার বেশ মজা লেগেছে। দ্বৈত চরিত্রে অভিনয়ের আলাদা চ্যালেঞ্জ থাকে। তাছাড়া বিটিভি আমাদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম, এই টিভি থেকেই আমরা কাজ শুরু করেছিলাম। তার হীরক জয়ন্তীর স্পেশ্যাল নাটকে কাজ করাটাও আলাদা ভালোলাগা দিয়েছে। আশা করছি দর্শক নাটকটি পছন্দ করবেন।’
অভিনেতা গোলাম কিবরিয়া তানভীর বলেন, ‘বিটিভির হীরক জয়ন্তীর স্পেশ্যাল নাটকে কাজ করাটা তো আনন্দের বটেই। সেইসঙ্গে আমাদের সবার প্রিয় মৌ আপুর সঙ্গে অভিনয় করার সুযোগ পেলাম। আমার খুব ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। তার মতো একজন তারকা কতোটা বিনয়ের সঙ্গে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেন সেটি নিজের চোখে দেখেছি। তার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।’
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, অলংকারপুরের জমিদার বাড়িটির সেই আগের জৌলুস আর নেই। জমিদার পরিবারের কেউ থাকে না এখানে। তবুও লাঠিয়াল হাশেম সর্দার লাঠি হাতে দিনরাত পাহারা দেয় এই জমিদার বাড়ী। জমিদার রাজা চৌধুরীর উইল করা ট্রাস্টেই চলে গ্রামের স্কুল, মসজিদ ও মাদ্রাসা। ট্রাস্টের শর্তে আছে জমিদারী থেকে অর্জিত সম্পদের অর্ধেক পাবে শুধুমাত্র এই বংশের সৎ, চরিত্রবান, শিক্ষিত সন্তানরা।
রাজা চৌধুরীর ছোট ছেলের একমাত্র সন্তান সোহেল চৌধুরী বিদেশ থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছে। সে এই জমিদার বাড়িতেই থাকতে চায়। উইলের শর্ত মতো সে যদি নিজেকে সৎ ও চরিত্রবান প্রমাণ করতে পারে তাহলে পাবে ট্রাস্টের টাকা ও একটি সোনার সিন্দুক। সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীসহ সোহেল চৌধুরী জমিদার বাড়িতে আসলে ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতিসহ গ্রামবাসী তাদের সাদরে গ্রহণ করে। রাতে সোহেল চৌধুরীর স্ত্রী উপমা সোনার সিন্দুক খোলার জন্য অস্থির হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সিন্দুক খুলে টাকা-পয়সা ও সোনা যাই রাখে তাই দ্বিগুন হয়ে যায়। উপমা নিজের চেহারা দ্বিগুন সুন্দর করতে সিন্দুক খুলে ভিতরে ঢুকে পড়ে। কিন্তু সিন্দুক খুলে হবহু উপমার মতো দুজনকে দেখতে পেয়ে চমকে যায় সোহেল। এদিকে উইলের শর্ত মতো একাধিক নারীসঙ্গ প্রমাণিত হলে সবকিছু থেকেই বঞ্চিত হবে সে। সোহেল এখন কী করবে? এগিয়ে যায় নাটকের গল্প…
আলী ইমরানের রচনায় ও আনোয়ার হোসেন বুলুর চিত্রগ্রহণে নাটকটি প্রযোজনা করেছেন মাহবুবা ফেরদৌস।