জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মৃত্যুঞ্জয় প্রাঙ্গণটাঙ্গন কিছু না। ওটা বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ছিল, ওটা পরিষ্কার করেছি। কোনো পরিকল্পনা শুরু করিনি। ভাইঙ্গা পরিষ্কার করেছি, জানাবনে কী করব। অর্ধেক ভাঙা ছিল না? পরিষ্কার-টরিষ্কার করতেছি। খুব দ্রুতই আমরা সিদ্ধান্তে যাব কী করা যায়।’
বোর্ড সভায় ভাস্কর্য নির্মাণের সিদ্ধান্ত অনুমোদনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘কিছু একটা হবে। বোর্ড মিটিংয়ে ওভারঅল কাঠামোগতভাবে একটা জিনিস পাস করিয়ে রাখছি আমরা এই এই কাজ করব। আমরা অনেকগুলো কাজ করব। এগুলো এখন সাজাচ্ছি, রেডি করছি, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করার মতো পরিস্থিতি এখনো আসেনি। কিন্তু এখানে জঞ্জাল–টঞ্জাল ছিল, অর্ধেক ভাঙা, একটি পুলিশবক্সও ভাঙা, এগুলো পরিষ্কার করে আগে ক্লিয়ার করছি।’
২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর বিজয় সরণিতে মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ নামে চত্বরটি উদ্বোধন করেছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ম্যুরাল–সংবলিত সাতটি দেয়ালে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪-৬০ পর্যন্ত জাতীয়তাবাদ ও সাংস্কৃতিক উত্থান, ছয় দফা আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়ের ঘটনাগুলো চিত্রিত করা হয়েছিল।