মন্ত্রিসভার দুজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, দলের মাঠ পর্যায়ের নেতারা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যরাও দেখা হলে জানতে চাইছেন কী হতে যাচ্ছে। কেউ কেউ কৌতূহল থেকে জানতে চাইছেন, কারও কারও মুখে দুশ্চিন্তার ছাপও দেখা যায়। ওই দুই মন্ত্রী জানান, রাজনীতির গতিপ্রকৃতির প্রতি সরকারের নজর আছে। তবে এখন মূল চিন্তা চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা নিয়ে।
বিএনপির পরবর্তী সমাবেশ খুলনায়, আগামী শনিবার। এরপর পর্যায়ক্রমে বাকি বিভাগীয় সদরে হবে। সর্বশেষ ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি। এদিকে ৬ নভেম্বর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। ১০ ডিসেম্বর পরীক্ষা না থাকলেও তার আগে–পরে আছে। এ কারণে বিএনপিকে মহাসমাবেশ করতে দেওয়া হবে কি না, সেটা নিয়েও আলোচনা আছে। শেষ পর্যন্ত করতে দিলেও উপস্থিতি কমানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে বলে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগ ও সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ঢাকার বাইরের বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে মানুষের উপস্থিতি কমাতে যানবাহন বন্ধ করে দেওয়া, পুরোনো মামলার আসামিদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া, কিছু কিছু স্থানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি রাখার পরিকল্পনা আছে।