বার্বাডোস রয়্যালসকে ৮ উইকেটে হারিয়ে তৃতীয় বারের মতো ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) শিরোপা জিতল জ্যামাইকা তালাওয়াস। ফাইনালে বার্বাডোসের করা ১৬২ রান জ্যামাইকা টপকায় ২৩ বল হাতে রেখে। হার-না-মানা ৮৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ব্র্যান্ডন কিং। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে জিতলেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার।
সিপিএলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শীর্ষ-দুইয়ের বাইরে থাকা কোনো দল শিরোপা জিতেছে! টেবিলের চারে থাকা জ্যামাইকা তালাওয়াস এলিমিনেটের ম্যাচে হারায় সেইন্ট লুসিয়া কিংসকে। এরপর কোয়ালিফায়ারে তারা পাত্তা দেয়নি গায়ানা অ্যামাজনকে। ফাইনালে এসে উড়িয়ে দিল বার্বাডোস রয়্যালসকেও। ২০১৩ ও ২০১৬ সালের পর ২০২২ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন জ্যামাইকা।
১৬২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে কাইল মায়ের্সের শুরুর ওভারেই বোল্ড কেনার লুইস। গোল্ডেন ডাক হয়ে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। এরপর তিনে নামা শামার ব্রুকসকে নিয়ে তান্ডব চালান ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং। কোয়ালিফায়ার ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ব্রুকস আজও ছিলেন দুর্দান্ত। ফিফটি হাঁকানোর পথেই ছিলেন, কিন্তু ডিপ স্কয়ার লেগে ফ্লিক করতে যেয়ে হয়েছেন ক্যাচ আউট। ফেরার আগে ৩৩ বলে খেলেন ৪৭ রানের ইনিংস।
রয়্যালসের বোলাররা এদিন থামাতে পারেননি কিংকে। ফিফটি হাঁকিয়ে কিং হয়েছেন আরও ভয়ংকর। ব্যাটে তুলেন ঝড়! শেষপর্যন্ত ৫০ বলে ৮৩ রানের হার-না-মানা ইনিংস খেলে ব্র্যান্ডন কিং সহজেই জেতালেন দলকে। তাঁকে সঙ্গ দিতে আসা অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েলের ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ১৪ রান। ফলে ১৬.১ ওভারেই শিরোপা জয়ের জন্য বন্দরে পৌঁছে যায় জ্যামাইকা।
এর আগে গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বার্বাডোস। আজম খানের ফিফটিতে চড়ে তারা স্কোরবোর্ডে জমা করে ১৬১ রান, ৭ উইকেট হারিয়ে। এদিনও দারুণ এক উদ্বোধনী জুটি পায় বার্বাডোস। কিন্তু ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, ইমাদ ওয়াসিম ও নিকোলসন গর্ডনের তোপের সামনে পড়ে বড় সংগ্রহ গড়া হয়নি বার্বাডোসের।
পাওয়ার-প্লের শেষ বলে রাহকিম কর্নওয়ালের (৩৬) বিদায়ে ভাঙে জুটি, তখন স্কোরবোর্ডে ৬৩ রান। এরপর অধিনায়ক কাইল মায়ের্সকেও (২৯) বোল্ড করেন অ্যালেন। ব্যক্তিগত ১৭ রানে বিদায় নেন জেসন হোল্ডার। তিনে নামা আজম খান ফিফটি হাঁকিয়ে হয়েছেন স্টাম্পড। তাঁকে ফিরিয়ে ফ্যাবিয়ান তুলে নেন নিজের তৃতীয় উইকেট।
এরপরে আর কেউ খেলতে পারেননি বড় স্কোর। নাজিবউল্লাহ জাদরান (৬), করবিন বোশ (৭), ডেভন থমাস (৭) ধরা পড়েন নিকোলসন গর্ডনের বলে। ফলে ১৬১ রানে থামে বার্বাডোস রয়্যালসের ইনিংস।
২৪ রান খরচায় তিন উইকেট দখলে নেওয়া জ্যামাইকার ফ্যাবিয়ান অ্যালেন পেলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বার্বাডোস রয়্যালস: ১৬১/৭ (২০ ওভার) কর্নওয়াল ৩৬, মায়ের্স ২৯, আজম ৫১, হোল্ডার ১৭, জাদরান ৬, করবিন ৭, থমাস ৭; অ্যালেন ৩/২৪, গর্ডন ৩/৩৩, ইমাদ ১/১৮
জ্যামাইকা তালাওয়াস: ১৬২/২ (১৬.১ ওভার) কিং ৮৩*, লুইস ০, ব্রুকস ৪৭, পাওয়েল ১৪*; মায়ের্স ১/১৪, হোল্ডার ১/১৪
ফলাফল: জ্যামাইকা তালাওয়াস ৮ উইকেটে জয়ী
ফাইনাল সেরা: ফ্যাবিয়ান অ্যালেন (জ্যামাইকা তালাওয়াস)
টুর্নামেন্ট সেরা: ব্র্যান্ডন কিং (জ্যামাইকা তালাওয়াস)।