বাবার মতো আচমকা চলে গেলেন রাতুল | চ্যানেল আই অনলাইন

বাবার মতো আচমকা চলে গেলেন রাতুল | চ্যানেল আই অনলাইন

সময়ের অগ্রজরা তাকে মনে রাখেন একজন মুক্তিযোদ্ধা, অ্যাকশন হিরো এবং বাংলা চলচ্চিত্রের দুর্দান্ত এক নাম হিসেবে— বলছি প্রয়াত চিত্রনায়ক জসীমের কথা। তবে ১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর, মাত্র ৫৩ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন তিনি।

জসীমের আকস্মিক প্রস্থান বাংলা সিনেমাকে যেমন শোকের সাগরে ডুবিয়েছিল, তেমনি ছিন্ন করে দিয়েছিল এক পরিবারের অভিভাবকতাকেও। তার প্রায় ২৭ বছর পর— আবারও জসীম পরিবারে এক হৃদয়বিদারক প্রস্থান!

রবিবার (২৭ জুলাই) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অনন্ত লোকের পথে পাড়ি জমালেন নায়ক জসীমের মেজ পুত্র এ কে রাতুল। বাবার মতো সুপারস্টার ছিলেন না, তবে বাংলা ব্যান্ড সংগীতে নিজস্ব অবস্থান তৈরী করে নিয়েছিলেন রাতুল!

সমকালীন বাংলা ব্যান্ড ‘ওউন্ড’-এর ভোকালিস্ট, বেজিস্ট এবং ছিলেন দক্ষ সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার! যার সৃষ্ট সংগীতে ফুটে উঠত আধুনিকতা, আবেগ আর নিজস্ব সুরসত্তা।

শৈশবেই বাবাকে হারান রাতুল। মা নাসরিনের স্নেহে ও সংগ্রামে বড় হন তিনি এবং তার দুই ভাই—বড় ভাই এ কে সামী এবং ছোট ভাই এ কে রাহুল। বাবার মতো সিনেমার পর্দা নয়, তারা তিনজনই বেছে নেন সুরের পথ। সংগীতই হয়ে উঠে তাদের একমাত্র পরিস্রুতির মাধ্যম, যেখানে তারা নিজ নিজ স্বপ্ন বুনেন।

রাতুল ও সামী একসঙ্গে গড়ে তোলেন ব্যান্ড ‘ওউন্ড’, যেখানে তারা শুধুই গান করেননি— তাদের আত্মা ঢেলে দিয়েছেন। অন্যদিকে ছোট ভাই রাহুল হেভি মেটাল ব্যান্ড ‘ট্রেইনরেক’সহ কয়েকটি ব্যান্ডের সাথে ফ্রিল্যান্স মিউজিশিয়ান হিসেবে আছেন। মিউজিকে তারও রয়েছে দৃঢ় অবস্থান।

সংগীত সতীর্থরা বলছেন, রাতুলের মৃত্যু শুধুমাত্র এক শিল্পীর বিদায় নয়— এ যেন আবার একবার সেই রক্তাক্ত বাস্তবতায় ফিরে যাওয়া, যখন জসীমকে হারিয়েছিল চলচ্চিত্র ও পরিবার!

তবু শোক ভুলে সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষেরা বলছেন, নায়ক জসীম নেই বহু বছর, আজ থেকে রাতুলও আর নেই। কিন্তু তাদের রেখে যাওয়া শিল্প, সংগ্রাম আর ভালোবাসা রয়ে যাবে এই মাটিতে, এই দেশের মানুষের হৃদয়ে!

Scroll to Top