বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে হাসেনি বাবর আজমের ব্যাট। প্রথম ইনিংসে ০ রানে আউট হওয়ার পর ডানহাতি এ ব্যাটার দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন ২২ রান। ঐ টেস্টে দুই দলের তিনজন ব্যাটার সেঞ্চুরি পেলেও বাবর ছিলেন ব্যর্থ। তাতেই পাকিস্তানের সাবেক এ অধিনায়ককে নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। তবে খারাপ সময়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক ক্রিকেটার রমিজ রাজাকে পাশে পাচ্ছেন বাবর।
ক্রিকেটাররা খারাপ খেললে অধিকাংশ সময় তাদের সমালোচনা করা হয়। আর এই সমালোচনার একটা মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। যেখানে সমর্থকরা নিজেদের মতো করে তাদের ভাবনা তুলে ধরতে পারে। খারাপ সময়ে বাবরকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন রমিজ।
তিনি বলেন, “প্রথমত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এড়িয়ে চলতে হবে। দ্বিতীয়ত, বর্তমানে মনোযোগ রাখতে হবে। রান না পেলে তখন এটা মানসিক খেলায় পরিণত হয় এবং অন্য ভাবনা শুরু হয়। বাবরের চেহারায় উদ্বেগ ফুটেও উঠেছে। সে ব্যাপক চেষ্টা করে যাচ্ছে, সুতরাং হতাশাও কাজ করছে। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, সে কীভাবে ব্যাটিং করছে।”
বাবরের ক্যারিয়ার গড় ৪৭.৭৩ হলেও গত এক বছরে ৩৭ ম্যাচে তার গড় ৩৬.০৮। এই সময়ে শুধু যে বাবর ব্যর্থ হয়েছেন বিষয়টা এমন নয়, পুরো পাকিস্তান দলই ভালো করতে পারেনি। তারপরও পাকিস্তানিরা সবচেয়ে বেশি সমালোচনা করেন বাবরেরই। এই বিষয়টা ভালো লাগেনি পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার রমিজ রাজার।
তিনি বলেন, “মনে হচ্ছে, বাবর ছাড়া পুরো জাতির আর কোথাও সমস্যা নেই। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ব্যাপারটা এমন হয়ে গেছে যে দল হেরেছে, আপনিও রান পাননি আর আপনি মানুষটি বাবর আজম—তাহলেই শিরোনাম হয়ে যায় ‘‘আমরা কীভাবে হারলাম? সে কী করল? তাঁর অবদান কী?’’ এর সঙ্গে আছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। এখানে যে কেউই সমালোচনা করতে পারেন, হাসাহাসি করতে পারেন। এগুলো যতটা সম্ভব নিরুৎসাহিত করতে হবে।”
সাম্প্রতিক সময়টা ভালো কাটাতে না পারলেও বাবরকে এখনো সেরা ক্রিকেটার মনে করেন রমিজ। তিন সংস্করণেই বাবরকে বড় মাপের খেলোয়াড় হিসেবে মনে করেন তিনি।
রমিজ বলেন, “ক্রিকেট আমাদের রক্তে মিশে আছে। জানি না, টেস্ট ক্রিকেটে এভাবে কত দিন হারতে হবে। একটা দলের ভক্ত–সমর্থক বাড়ে জয়ের মাধ্যমে। কারণ, সমর্থকেরা সফল গল্পের অংশ হতে চান। বাবরের সাফল্যের গল্প আছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে তিন সংস্করণেই সে বড় মাপের খেলোয়াড়।”