এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
ইউএসএআইডি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ ও ভারতসহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল তথা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য ২৭২ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে কানাডা।
সোমবার (১০ মার্চ) কানাডাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউজ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল রোববার দেশটির আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ হুসেন এ প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
এক বিবৃতিতে আহমেদ হুসেন জানান, বাংলাদেশ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক আরো দৃঢ় হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ জনগণের স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে আমরা বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ে তুলছি।
এই সহায়তার মধ্যে ১৪টি আলাদা প্রকল্পে অর্থ ব্যয় করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে লিঙ্গ সমতা, নারীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা, দক্ষতা প্রশিক্ষণ, এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় জনগণের সক্ষমতা বৃদ্ধির মতো প্রকল্প।
কানাডার সরকার জানিয়েছে, নার্সিং খাতে নারীর ক্ষমতায়ন নামে একটি প্রকল্পের জন্য তিন বছরে ৬৩ লাখ ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
কানাডার এই পদক্ষেপটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন। ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) এর মাধ্যমে বৈদেশিক সহায়তা প্রদান বন্ধ করে দিয়েছিল। ট্রাম্প প্রশাসন বৈদেশিক সহায়তাকে মার্কিন করদাতাদের অর্থের অপচয় হিসেবে দেখেছিল, যা তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্যান্য বিদেশী অংশীদার এবং দাতাদের অবদানের সাথে ব্যয় করা এই অর্থ বাংলাদেশ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্যান্য দেশে ১৪টি ভিন্ন প্রকল্পের জন্য নতুন তহবিল সরবরাহ করবে।