বাংলাদেশে শক্তিশালী গণতন্ত্র না থাকলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সীমিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা ডেরেক শোলে। গণতন্ত্র নিয়ে সুনির্দিষ্ট পথরেখা না দেয়ায় জো বাইডেনের গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা সফরের শেষ আয়োজন, গণমাধ্যমের কয়েকজন সম্পাদকের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ডেরেক শোলে বলেন, আমরা আশা করছি বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক হবে। তা না হলে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করতে থাকবে বলেও জানান তিনি। র্যাবের টেকসই সংস্কার হলে নিষেধাজ্ঞা উঠতে পারে বলেও জানান তিনি।
গণমাধ্যমের কয়েকজন সম্পাদকের সাথে মতবিনিময়কালে বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কারণ তুলে ধরেন ডেরেক শোলে। বলেন, ব্যবসা বাণিজ্য বিনিয়োগ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য ঢাকাকে গুরুত্ব দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
মতবিনিময় সভায় আসে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ। মার্কিন এই শীর্ষ কূটনীতিকের আশা, আগামী নির্বাচন ভালো হবে। এ সময় বাংলাদেশে শক্তিশালী গণতন্ত্র চর্চার আহ্বান জানান তিনি। তা না হলে সম্পর্কে প্রভাব পড়তে পারে বলেও জানান ডেরেক শোলে।
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে এক প্রশ্নেরও জবাব দেন অ্যান্টনি ব্লিংকেনের এই উপদেষ্টা। বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-চীন টানাপোড়েনে বাংলাদেশকে কোনো পক্ষ নেয়ার কথা বলবে না যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, তুরস্কের ভূমিকম্পসহ বিশ্বব্যাপী নানা মানবিক সংকট থাকলেও রোহিঙ্গা সমস্যা তাদের অগ্রাধিকার বলে মন্তব্য করেন ডেরেক শোলে।
ইউএইচ/