সর্বশেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে শোচনীয় পরাজয় গুনতে হয়েছে বাংলাদেশকে। আফগানিস্তান বাদে অবশ্য কোন দলের সাথেই এখনও জয়ের মুখ দেখেনি তাঁরা। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পরাজিত হওয়ার পর দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন মুখে এক আকাশ কালো মেঘ নিয়ে। আজ পাকিস্তানে বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিনও সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত বাংলাদেশ অধিনায়ক।
লক্ষ্যটা কালকের ম্যাচ খেলা, জয়ের চেষ্টা করা। আর তা করতে হলে নিজেদের সেরাটা দিতে হবে, সাকিব জানেন। বাংলাদেশের জন্য আছে আর ৩ ম্যাচ। আগামীকাল দল লড়বে পাকিস্তানের বিপক্ষে। এরপর অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাকি দুই ম্যাচ। দলের মূল লক্ষ্য আসলে এখন এই ৩ ম্যাচ এবং সেখান থেকে কী করে জয় আদায় করে নেওয়া যায়, সেটাই। অথচ দলের স্বপ্ন ছিল অন্তত সেমিফাইনাল খেলা। সেখান থেকে ধুঁকতে ধুঁকতে লক্ষ্য এখন কেবলই ‘আগামীকাল’।
অধিনায়ক হিসেবে নিজের পারফর্ম্যান্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে সাকিবকে বলতে হয় ব্যর্থ। কিছুদিন আগে ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার বলছিলেন, অধিনায়ক মূলত নিজের পারফর্ম্যান্স দিয়ে দলকে এগিয়ে নেয়। এটা প্রথম। ইংলিশ অধিনায়কও যে ডুবছেন ব্যর্থতার জলে, দলও তাই। ব্যাটারদের মধ্যে সাকিবের বিশ্বকাপ গড় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে।
সাকিব বলেন, “আমিও চাই পারফর্ম করতে। কীভাবে, সেটা নিজেও খুঁজছি।”
সাকিবের নিজের আর বলার তেমন কিছু নেই বলেই বোধ তাঁর। সাথে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোয়ালিফাই করার গুরুত্বও নতুন করে দেখা দিয়েছে। আলাপটা অন্তত নতুন, যখন সর্বশেষ ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক এ নিয়ে কথা তুললেন। কিন্তু দলের এই অবস্থায় আসলে কী করণীয়?
অধিনায়ক বললেন,
“যার যার জায়গা থেকে নিজেকে মোটিভেট করতে হবে, কীভাবে ফর্মে ফিরতে পারে। প্রত্যেকে নিজেই পারে নিজেকে ফর্মে ফেরাতে। ব্যাটিং, বোলিং বা ফিল্ডিং যেটাই বলুন। ক্রিকেট যদিও টিম গেম তারপরও ইন্ডিভিজুয়ালি পারফর্ম করতে হয়, তারপর দল সমষ্টিগতভাবে পারফর্ম করে।”