ফরহাদ মজহার বলেন, চিন্ময় দাসকে ধরেছে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে। এই রাষ্ট্রদ্রোহিতা সেই ঔপনিবেশিক আইন। এ আইনের পক্ষে ওই ছেলেগুলো দাঁড়িয়েছে, যারা গণ–অভ্যুত্থান করেছিল, যাদের বিরুদ্ধে আগে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছিল। ওদের সে (আইনটির বিপক্ষে দাঁড়ানোর) সাহস হলো না।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নাগরিক অধিকারের পক্ষে দাঁড়ানোর কথা উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘তাঁর (চিন্ময় দাস) বিচার হোক। তাঁকে জামিন দিলেন না। একটা হত্যাকাণ্ড ঘটে গেল। এগুলো আমরা হতে দিয়েছি।’
গণ–অভ্যুত্থানের পরও কিছুই বদলায়নি উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘৮ আগস্টের পর শেখ হাসিনার সংবিধানের অধীনে চলে গেছে। এর মানে হচ্ছে যেসব প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা করছেন, সেসব প্রতিষ্ঠান বহাল তবিয়তে আছে। আমলাতন্ত্র, বিচার বিভাগ, বুদ্ধিজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়—সবই আগের জায়গায় আছে, কিছুই পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু এখনো ওই ভুল থেকে শিখছি না যে ৮ আগস্ট সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব হয়ে গেছে। যেহেতু ভাবছি না, তাই সমাধান দিতে পারছি না।’
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘অবশ্যই গণ–অভ্যুত্থান পথ, নির্বাচন না। নির্বাচন করার মানে হচ্ছে ওই পুরোনো লুটেরা মাফিয়া শ্রেণিকে আবারও আনবেন। ঠিক এনসিপিও সেটাই শিখছে। হ্যাঁ, নির্বাচনই করতে হবে। ওরাও ঠিকই চাঁদা চাইতেছে, বড় বড় হাউসের কাছে যাচ্ছে। দুই কোটি টাকা, পাঁচ কোটি টাকা।’