বাংলাদেশের ক্রিকেট থেকে দুর্নীতি দূর করার ‘হুঙ্কার’ মার্শালের | চ্যানেল আই অনলাইন

বাংলাদেশের ক্রিকেট থেকে দুর্নীতি দূর করার ‘হুঙ্কার’ মার্শালের | চ্যানেল আই অনলাইন

বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনায় বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বিপিএলের ফিক্সিং ইস্যু। ২০১২ সালের পর আবারও একই সমস্যার মুখোমুখি দেশের ক্রিকেট। যা নিয়ে চলছে তদন্ত। এসব বিষয়ে আরও স্বচ্ছতার জন্য আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের হয়ে কাজ করা অ্যালেক্স মার্শালকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে দেশের ক্রিকেটে স্পট ফিক্সিং নিয়ে এখনই কিছু বলতে নারাজ বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষায় তিনি।

মঙ্গলবার রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয় ক্রিকেটার-বোর্ড বৈঠক। টানা তিন ঘণ্টার বেশি চলা বৈঠকের পর ক্রিকেটারদের হোটেল ছাড়ার আরও ঘণ্টা দেড়েক পর বিসিবি সভাপতি হাজির হন গণমাধ্যমের সামনে।

আলোচনায় থাকা স্পট ফিক্সিং নিয়ে প্রশ্ন যায় বিসিবি সভাপতির দিকে। ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে ফিক্সিং ইস্যুটিও ছিল। সেটি জানিয়ে আমিনুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের কাছে এখনও পর্যন্ত কোন প্রতিবেদন আসেনি। প্রতিবেদন আসার কথা রয়েছে সামনের সপ্তাহে। আসার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যারা ক্রিকেট খেলে, সেই খেলাটাকে রক্ষা করার জন্য আমরা অ্যালেক্স মার্শালকে নিয়ে শতভাগ শৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা করব।’

এ প্রসঙ্গে অ্যান্টি করাপশন কনসালটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়া মার্শাল বলেছেন, ‘আমরা একটা নৈতিকতা বিভাগ তৈরি করব, যারা সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন করবে। তারা যেন বুঝতে পারে এসবের কী বিপদ আছে। দলের ভেতরেও একটা নিরাপত্তা থাকবে। আমরা নিশ্চিত করব দুর্নীতিবাজেরা যেন ছাড় না পায়। আমরা তাদের বাংলাদেশে চাই না। তাদের ক্রিকেটের বাইরে পাঠানো হবে। নৈতিকতা বিভাগ শক্ত বার্তা দিতে চায় যে, বাংলাদেশে খেলাটা স্বচ্ছ থাকবে।’

‘যেকোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেই বড় হুমকি হচ্ছে যখন তাতে দুর্বলতা দেখা যায়। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ পেশাদারভাবে না চললে ও যথেষ্ট নিরাপত্তাবেষ্টিত না হলে এটাকে দুর্নীতিবাজেরা লক্ষ্য বানাবে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে বিপিএলের যেন এমন ভাবমূর্তি না থাকে। যেভাবে টুর্নামেন্ট চলে, ফ্র্যাঞ্চাইজি দেয়া হয়- নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সবকিছুই চূড়ান্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে সামলাতে হবে।’

‘তারা যেন বাংলাদেশের আইন, ইসলামিক আইন, মূল্যবোধ সম্পর্কে জানে। সবমিলিয়ে চেষ্টা করব খেলাটাকে কীভাবে আরও সুন্দরভাবে সুরক্ষিত রাখা যায়।’

দুর্নীতি প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়া প্রয়োজন, মনে করিয়ে মার্শাল বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে চাই, বাংলাদেশের হয়ে যে নারী ও পুরুষ ক্রিকেটাররা খেলেন, তারা যেন সুরক্ষিত থাকেন। প্রেসিডেন্ট, সিইও ও বোর্ড মেম্বারদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তারা আমাকে দারুণভাবেই সমর্থন জানিয়েছেন। আমরা ইন্টেগ্রিটি ইউনিটকে নতুন করে সাজাব। আমাদের লক্ষ্য সবাইকে এই বিষয়ে শিক্ষিত করে তোলা এবং তারা যাতে বোঝে কী করতে হবে। তারা যেন সচেতন হয়ে ওঠে এবং দুর্নীতিবাজরা সুযোগ করতে না পারে।’

Scroll to Top