ঝিনাইদহ, ১৬ মার্চ – সীমান্তে এক বাংলাদেশিকে নির্যাতনের পর মৃত ভেবে ফেলে রেখে গেছে বিএসএফ। নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশির নাম ফারুক হোসেন (৪২)। তিনি নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বেরইল গ্রামের মোতালেব শেখের ছেলে।
রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তের কুমিল্লাপাড়া বিওপি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহেশপুর ৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানান, রোববার সীমান্তের কুমিল্লাপাড়া বিওপি সংলগ্ন মাঠে কৃষকরা কাজ করতে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ফারুক হোসেনকে দেখতে পান। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন তারা।
নির্যাতনের শিকার ফারুক হোসেনের স্ত্রী হাসি খাতুন জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি ও তার এক সন্তান ভারতের খোসালপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এ সময় ফারুক হোসেন বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টাকালে বিএসএফের হাতে আটক হন। আটকের পর তাকে নির্মম নির্যাতনের একপর্যায়ে মৃত ভেবে সীমান্তে ফেলে রেখে যায় বিএসএফ। ১০ বছর ধরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভারতের ভেলোরে বসবাস করে আসছিলেন ফারুক। সেখানে তিনি বাংলাদেশি রোগীদের সহায়তা করতেন। রোগী কমে যাওয়ায় অবৈধ পথে ভারতের বরণবেড়ে সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরার চেষ্টাকালে বিএসএফের হাতে আটক হন।
এ বিষয়ে মহেশপুর ৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশি নির্যাতনের তথ্য সংগ্রহ করতে সীমান্ত এলাকা ও বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
সূত্র: আরটিভি নিউজ
এনএন/ ১৬ মার্চ ২০২৫