বাংলাদেশকে আরও সাড়ে ৬৪ কোটি ডলার দিচ্ছে আইএমএফ

বাংলাদেশকে আরও সাড়ে ৬৪ কোটি ডলার দিচ্ছে আইএমএফ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশের জন্য চলমান ঋণ কর্মসূচির অধীনে দেশটিকে আরও ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড় করবে তারা।

বাংলাদেশকে আরও সাড়ে ৬৪ কোটি ডলার দিচ্ছে আইএমএফ

বুধবার সন্ধ্যায় ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি আকারে তাদের বক্তব্য প্রকাশ করেছে আইএমএফ। সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি ধারাবাহিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে এবং অর্থনৈতিক সহায়তার প্রয়োজন বাড়ছে।

সংস্থাটির একটি দল চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে পর্যালোচনার জন্য গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ঢাকায় রয়েছে। বুধবার শেষ দিনে দলটির প্রধান ক্রিস পাপজর্জিও বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সাথে সমঝোতায় পৌঁছেছেন বলে বিবৃতিতে জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, “আইএমএফ’র নির্বাহী বোর্ড বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের আগের নেয়া পদক্ষেপগুলো কতটা বাস্তবায়ন হলো তা পর্যালোচনার বিষয়টি বিবেচনা করবে। সময়মত অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন অর্থনীতিতে স্বাভাবিক করতে ভূমিকা রেখেছে। যদিও অর্থনৈতিক কার্যক্রমের গতি অত্যন্ত ধীর এবং মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলেছে।”

এতে আরও বলা হয় জিডিপির প্রকৃত বৃদ্ধি ২০২৫ অর্থ বছরে কমে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে। গণআন্দোলন, বন্যা, কঠোর নীতির কারণে এটা হতে পারে। যদিও ২০২৬ সালে এটি ঘুরে দাঁড়িয়ে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে।

এর আগে, গত জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার ছাড়ের অনুমোদন দিয়েছিল সংস্থাটি। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণের অনুমোদন দিয়েছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ।

তখন আইএমএফ বলেছিল যে মোট সাত কিস্তিতে এই ঋণ পাবে বাংলাদেশ, যাতে ঋণের গড় সুদ হবে ২ দশমিক ২ শতাংশ। তবে ঋণ পেতে বরাবরের মতোই বেশ কিছু সংস্কারের শর্ত দিয়েছে তারা।

টিউলিপের বিরুদ্ধে রাশিয়া সফর ও ৪০০ কোটি পাউন্ড ঘুষ নেয়ার অভিযোগ

এর মধ্যে রয়েছে জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতের ভর্তুকি কমানো, টাকার বিনিময় ব্যবস্থা বাজারের উপর ছেড়ে দেয়া, রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কার, কর আদায়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি, ব্যাংকিং খাতের সংস্কার, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, আধুনিক মুদ্রানীতি তৈরি, আর্থিক খাতের দুর্বলতা দূর করা এবং নজরদারি বাড়ানো ইত্যাদি। এসব বিষয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ ইতোমধ্যেই নিয়েছে বাংলাদেশের সরকার।

Scroll to Top