বরগুনায় সমন্বয়ক পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে মারধর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা – DesheBideshe

বরগুনায় সমন্বয়ক পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে মারধর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা – DesheBideshe

বরগুনায় সমন্বয়ক পরিচয়ে ব্যবসায়ীকে মারধর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা – DesheBideshe

বরগুনা, ০৩ আগস্ট – বরগুনায় দোকানে ঢুকে সমন্বয়ক পরিচয়ে মো. জসিম নামে এক ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী জসিম ল্যাডিস পয়েন্ট নামে এক দোকানে বস্ত্র ব্যবসায়ী। সমন্বয়ক দাবি করা অভিযুক্তের নাম সিনহা রাহমান। এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে তৎক্ষণিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ফেলেন ব্যবসায়ীরা।

শনিবার (২ আগস্ট) রাত পৌনে ১০টার দিকে বরগুনা পৌরশহরের বিবি সড়কের একটি কাপড়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন বরগুনার বস্ত্র ব্যবসায়ীরা।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয় ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, জসিম তার শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে নিজের দোকান থেকে বের হয়ে খাবার কেনার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। এ সময় ইয়াসমিন তানিয়া নামে এক নারী পথচারীর সঙ্গে ওই শিশুটির ধাক্কা লাগলে শিশুটি সিটকে পড়ে যায়। পরে বিষয়টি নিয়ে জসিম এবং ওই নারী মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি বাজারের অন্য বস্ত্র ব্যবসায়ী ও সমিতির নেতাদের নজরে এলে তাৎক্ষণিক সমাধান করতে উভয় পক্ষকে ডাকেন তারা। এ সময় ইয়াসমিন তানিয়ার ছেলে সিনহা রহমান নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। পরে উভয়পক্ষের কথোপকথনের এক পর্যায়ে সিনহা উত্তেজিত হয়ে ব্যবসায়ী জসিমের ওপর হামলে পড়ে মারধর করেন। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হলে তৎক্ষণিক আশপাশের সব দোকান বন্ধ করে ফেলেন তারা।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. জসিম বলেন, বাচ্চাকে নিয়ে খাবার কিনতে যাচ্ছিলাম। এ সময় এক নারী আমার বাচ্চাটিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় ওই নারী আমাকে কোনো প্রকার সহানুভূতি না দেখিয়ে উল্টো বলেন দেখে হাঁটতে পারেন না। বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে বাগবিতণ্ডার পর যে যার মত চলে যাই। পরে ওই নারী তার সমন্বয়ক দাবি করা ছেলেকে জানালে বিষয়টির মীমাংসা করতে আমাকে ডাকেন বস্ত্র ব্যবসয়ী সমিতির নেতারা। এরপর সেখানে উপস্থিত হলে সবার সামনেই আমাকে মারধর করা হয়। আমি এ ঘটনা বিচার চাই।

বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হারুন আর রশিদ বলেন, জসিমের সঙ্গে এক নারী পথচারীর বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি সমাধানের জন্য উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার একপর্যায়ে ওই নারীর ছেলে ও সঙ্গে আরেকজন দোকানে উঠে জসিমকে মারধর শুরু করে। এ সময় আমরা যারা উপস্থিত ছিলাম সবাই মিলে তাদেরকে থামাতে এবং দোকান লুটের হাত থেকে রেহাই পেয়েছি। এ ঘটনার পরপরই আমরা ব্যবসায়ীরা সব দোকান বন্ধ করে দিয়েছি। এছাড়া আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ ঘটনায় উপযুক্ত বিচার না হলে আগামীকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াকুব হোসাইন বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগী কারো কোনো লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সূত্র: ঢাকা পোস্ট
এনএন/ ০৩ আগস্ট ২০২৫



Scroll to Top