উদাহরণ হতে পারে ইস্টার্ন ব্যাংক
গত এক দশকে দেশের বেশ কটি ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। এই সময়ে ইস্টার্ন ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার ভিত আরও মজবুত হয়েছে। কীভাবে এটি সম্ভব হলো, জানতে চাইলে আলী রেজা ইফতেখার বলেন, ‘আমরা বাজারে এই ধারণা দিতে পেরেছি যে যথাযথ যাচাই–বাছাই ছাড়া গ্রাহক করা হবে না। এ কারণে আমরা কখনো সমস্যায় পড়িনি। অনেকে আমাদের কাছে আসেনি, আবার অনেকে এসে ফিরে গেছে। আমরা জেনেশুনে এমন কোনো গ্রাহককে ঋণ দিইনি, যা ফেরত পেতে ভোগান্তি পোহাতে হবে। চলতি বছরও নতুন গ্রাহকের কাছে না গিয়ে পুরোনো গ্রাহকদের ব্যবসা বাড়াতে চায় ইস্টার্ন ব্যাংক।’
এখনকার সংকটে পড়া ব্যাংকগুলো সম্পর্কে আলী রেজা ইফতেখার বলেন, পুনর্গঠন স্কিম করে ইস্টার্ন ব্যাংককে দাঁড় করানো হয়েছিল। এখন যেসব ব্যাংক সংকটে আছে, এসব ব্যাংক একই কৌশল নিতে পারে। যদি একটা বন্ধ ব্যাংক দাঁড় করানো সম্ভব হয়, তাহলে চালু থাকা ব্যাংকও ঠিক করা যাবে। এ জন্য ৫-১০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে। প্রতিবছর কী কী কাজ করবে, তার তালিকা করতে হবে। বিসিসিআইয়ের বিষয়টি মাথায় রেখে পরিকল্পনা করলে এখনকার সব ব্যাংককে ঘুরে দাঁড় করানো সম্ভব।