হোম অব ক্রিকেটে আরও বড় সাফল্য হাতছানি দিয়ে ডাকছে বাংলাদেশ দলকে। কিন্তু আজকেও বাধা হয়ে দাঁড়াল দিনের আলো। ‘ব্যাড লাইট’ ইস্যুতে দিনের বাকি থাকা ৩৭ ওভার আগেই খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করতে হয় আম্পায়ারদের। দুই উইকেট হারালেও ৩০ রানের লিডে আছে স্বাগতিকরা। সংবাদ সম্মেলনে এসে নাইম হাসান বললেন, সংগ্রহ যা-ই হোক আমরা এই লড়াইয়ে জিতব। মিরপুর উইকেট নিয়ে অজুহাত নেই নাইমের সিলেবাসে, বরং বলে গেলেন চেষ্টা করলে সফলতা আসবেই।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১৭২ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড স্কোরবোর্ডে জমা করেছে ১৮০ রান। আর তাতেই টিম সাউদিদের লিড দাঁড়ায় ৮ রানে। চা বিরতির পর কেবল ৩৬ মিনিট খেলা হয়েছে। যেখানে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৮। তাতেই স্বাগতিকদের লিড গিয়ে দাঁড়ায় ৩০ রানে।
দিনের খেলা শেষ হয়েছে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই। তাই সংবাদ সম্মেলন কক্ষেও নাইম হাসানের আগেই আগমন। এসেই বললেন এই টেস্ট নিয়ে নিজেদের লক্ষ্যের কথা, ‘আমার মনে হয় আমরা যত লম্বা সময় ব্যাটিং করতে পারি আমাদের জন্য ভালো। ২০০-২২০ রান করতে পারলে ইনশাল্লাহ আমরা ডিফেন্ড করতে পারবো।’
মিরপুরের উইকেট ঐতিহ্যগতভাবে স্পিন সহায়ক। এখানে ব্যাটারদের নায়ক হওয়ার সুযোগ আসে না হরহামেশাই, যতটা না স্পিনাররা আলো ছড়ান। নাইম হাসানের কাছে প্রশ্ন যায়- উইকেটের আচরণ কেমন দেখছেন?
মিরপুরের উইকেটকে যে কিছুটা আগলে রেখেই উত্তর দিলেন এই স্পিনার। কোনোপ্রকার অজুহাতে যেতে চান না। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তাই হাস্যোজ্জ্বল দেখা গেল নাইমকে,
‘উইকেট যেমনই হোক খেলতে হবে। অজুহাত দেওয়া যাবে না। এখন ফ্ল্যাট উইকেট দিলে কি বলব আমি বোলিং করব না? ওটা তো বলতে পারব না। এই উইকেটে ব্যাটাররা ব্যাট করছে, রান করছে। আমাদের সবাইকে চেষ্টা করতে হবে। উইকেট যেমনই হোক ভালো টোটাল করতে হবে আর বোলিংয়ে ভালো করতে হবে।’
‘এখন পর্যন্ত দেখছি উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো। চ্যালেঞ্জ নিয়ে খেলতে হবে। ম্যাচ জেতার জন্য আমাদের যা যা করা দরকার সবই করতে রাজি।’