জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, কিশোরগঞ্জের মানুষ রাষ্ট্রপতি পেয়েছে কিন্তু তার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের অধিকার পায়নি। ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রপতি আমাদের বাংলাদেশকে শেখ হাসিনার কাছে তুলে দিয়েছিলো। মানুষের মানবাধিকার, মানুষের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। আপনারাই এই কিশোরগঞ্জ থেকে সেই ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলে ছিলেন।
শনিবার (২৬ জুলাই) রাত ৯টায় কিশোরগঞ্জের পুরান থানা এলাকায় জুলাই পদযাত্রা শেষে এক জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চল তো বটেই, সদরেও এমন স্কুল আছে যেখানে শিক্ষক নেই, হাসপাতাল আছে কিন্তু নেই ডাক্তার। যুবসমাজ কর্মহীন, রাস্তার জন্য হাজার কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ হলেও বাস্তবে রাস্তা নেই। আমরা চাই, এমন কিশোরগঞ্জ গড়তে যেখানে প্রতিটি শিশু স্কুলে যেতে পারবে। প্রতিটি মানুষ সহজে স্বাস্থ্যসেবা পাবে। তরুণরা কর্মসংস্থান পাবে আর মানুষ পাবে চলাচলের সুযোগ-সুবিধা।
জুলাই অভ্যুত্থানের এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রপতি শেখ হাসিনার হাতে আমাদের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে তুলে দিয়েছিলেন। আজও সেই ফ্যাসিস্টের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে আছে। কিশোরগঞ্জে অনেক মামলার আসামি এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। শহীদ পরিবারের সদস্যরা এবং আমাদের আহত ভাইয়েরা এখনো আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হুমকির মুখে। আমরা জানতে চাই, এই সন্ত্রাসীদের কারা আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধেও আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তরুণদেরকে জাতীয় নাগরিক পার্টিতে যোগ দিতে এবং দেশ পরিবর্তনের যাত্রায় শামিল হবার আহ্বান জানান নাহিদ ইসলাম।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা সহ জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।