ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে থাকা দলগুলো এখন পারস্পরিক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মঞ্জু বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমরা দেখছি কিছু-কিছু নেতা তাদের বক্তব্যে-স্লোগানে রাজনৈতিক শালীনতা বা শিষ্টাচারেরও সীমা অতিক্রম করছে। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ও ক্ষমতার রাজনীতিকে কেন্দ্র করে এই কাদা-ছোড়াছুঁড়ি বাড়ছে। দলগুলোর মধ্যে এমন বিভেদের জেরে ফ্যাসিবাদী শক্তি ফিরে আসার পথ তৈরি হতে পারে।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, হাসিনার ফ্যাসিবাদকে উৎসাহিত করেছে কিছু সাংবাদিক নামের অ্যাক্টিভিস্ট। আওয়ামী লীগকেও রিকনসোলেশন করা যায়, তবে তার আগে তাদেরকে ভুল স্বীকার করতে হবে, জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের কবলে পড়েছিল ইসলামিক টিভি, দিগন্ত টিভি, চ্যানেল ওয়ান, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা, এ সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। নির্যাতন আর নিষ্পেষণের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়েছিল সাংবাদিক সমাজ। আমাদের ভুলে যাতে ফ্যাসিবাদের উত্থান না হয় সেই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সারজিস, নাহিদ ও হাসনাতরাই আমাদের নতুন স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। ১৫/১৭ বছর আন্দোলন করে সফল হতে না পারা রাজনৈতিক দলগুলোকেও মনে রাখতে হবে, ঐক্য ও সংহতির ব্যাপারে কোন ছাড় নেই।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব মো. জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে ও বৈশাখী টিভির ব্যুরো প্রধান গোলাম মওলা মুরাদের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- এবি পাটির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক এড. গোলাম ফারুক, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম মহাগর যুগ্ম-আহবায়ক ছিদ্দিকুর রহমান, দৈনিক কালের কণ্ঠ চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান ও বিশেষ প্রতিনিধি মুস্তফা নঈম।
আরও উপস্থিত ছিলেন- বাসস’র বিশেষ প্রতিনিধি মিয়া মোহাম্মদ আরিফ, ইসলামিক টিভির সাবেক ব্যুরো চিফ শহিদুল ইসলাম, নিউজগার্ডেন সম্পাদক কামরুল হুদা, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের ব্যুরো চিফ মজুমদার নাজিম, এই বাংলার নির্বাহী সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামন মিন্টু, দৈনিক দিনকালের ব্যুরো চিফ হাসান মুকুল, সাংবাদিক মাহাবুবুল মাওলা রিপন, মোহাম্মদ আলী পাশা, দিদারুল হক ও মোহাম্মদ তোহা প্রমুখ।