আবার যাঁরা মনে করেন ৯০ মিনিটের এই সময়সীমা নিছকই কাকতালীয় নয়, তাঁদের জন্য ইংরেজ ইতিহাসবিদ ও গবেষক পিটার সেডন তাঁর ‘ফুটবল টক: দ্য ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড ফোকলোর অব দ্য ওয়ার্ল্ডস গ্রেটেস্ট গেম’ বইয়ে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ফুটবল ম্যাচের এই সময়সীমা সংখ্যার প্রতি এক ঐতিহাসিক আসক্তি থেকে এসেছে, যার শিকড় মধ্যযুগ পর্যন্ত বিস্তৃত। মধ্যযুগ থেকেই সময়কে ৬০ মিনিটে ভাগ করে রাখার যে ধারা, তা থেকেই হয়তো এই ৯০ মিনিট এসেছে। সেডনের মতে, আজকাল যেমন ১০০-কে একটা পূর্ণাঙ্গ সংখ্যা মনে করা হয়, ছয় শ বছর আগে সে রকম ভাবা হতো ‘৬০’ সংখ্যাটিকে। এমনকি তিনি টেনিসের অদ্ভুত স্কোরিং সিস্টেমের (১৫, ৩০, ৪০, গেম অর্থাৎ ৬০) ভিত্তিও খুঁজে পেয়েছেন সেখানেই (তাঁর মতে, টেনিসের ৪০ আসলে ছিল ৪৫, পরে তা ‘৪০’ করা হয়। সেটাও এক অদ্ভুত কারণে। ফর্টি ফাইভ বলতে বেশি সময় লাগে, ফর্টি বলতে কম)।
