এএফসি এশিয়ান কাপ অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাইপর্বে পর পর দুম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ভিয়েতনামের কাছে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি শেখ মোরসালিনের দল। ইয়েমেনের বিপক্ষে ১-০ গোলে হার দেখেছে ১০ জনের বাংলাদেশ।
তিন ম্যাচের বাছাইপর্বে দুই ম্যাচ খেলে কোনো পয়েন্ট আদায় করতে পারেনি বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ শেষে পয়েন্ট ও গোল ব্যবধানে গ্রুপের তলানিতে লাল-সবুজ দল। হারে এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি শুধু নিয়মরক্ষার। এমন পরাজয়ে হতাশ বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সহকারি কোচ হাসান আল মামুন।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মামুন বলেছেন, ‘সময়টা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ আমরা শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ঠিক তখনই লাল কার্ড পাই, যা আমাদের আক্রমণের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। সংখ্যায় আমরা কমে যাই। এটাই ম্যাচের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।’
‘অবশ্যই, ভিয়েতনাম সবচেয়ে শক্তিশালী দল, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আমি বলেছিলাম, এটা মূলত বাকি তিন দলের মধ্যে লড়াই হবে। যেহেতু ইয়েমেন প্রথম ম্যাচে জিতেছে, তাই আমাদের জন্য এই ম্যাচ ছিল গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ইয়েমেনকে চ্যালেঞ্জ জানাতে হতো। আমরা আমাদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছি এই ম্যাচ জিততে।’
‘কিন্তু এটা ফুটবল। এখানে আপনাকে সবকিছু নিয়েই নামতে হবে, কিন্তু অনেক সময় খালি হাতে ফেরা লাগে। এটা ঘটবেই, ফুটবলে এটাই স্বাভাবিক।’
‘যখন লক্ষ্য থাকে গ্রুপে দ্বিতীয় হয়ে কোয়ালিফাই করা, আর সেসময় টানা দুই ম্যাচ হেরে যাই, তখনই সেটা বড় ধাক্কা। আশা করি, ছেলেরা এখান থেকে শিখবে। এটা একটা শিক্ষণীয় প্রক্রিয়া। ভবিষ্যতে কীভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়, কীভাবে শক্তভাবে ফিরে আসতে হয়, সেটা শেখা যায়।’
ভিয়েতনামে খেলতে এসে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ভিয়েতনামের কাছে ২-০ গোলের হার দিয়ে আসর শুরু করে বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ইয়েমেনের কাছে ১-০ গোলের হেরেছে। শেষ ম্যাচে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ।