আইতানা বনমাতি যিনি স্পেন দলের এক ভরসার নাম। তার গোলেই মেয়েদের ইউরোয় সেমিফাইনালে শক্তিশালী জার্মানকে প্রথমবার হারিয়ে ফাইনালে উঠে স্পেনিয়ার্ডরা। সেই বোনমাতির পেনাল্টি মিসেই আবার শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চ থেকে ফিরতে হল খালি হাতে। এই আক্ষেপ যেন মেনে নেয়ার নয় ২৭ বর্ষী মিডফিল্ডারের।
সুইজারল্যান্ডের বাসেলে রোববার রাতে এসেন্ট জ্যাকব-পার্ক স্টেডিয়ামে পেনাল্টি শুটআউটে স্পেনের মেয়েদের ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে ইউরো জেতে ইংলিশ মেয়েরা। নির্ধারিত সময় ১-১ গোলে শেষ হলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। ইংল্যান্ডের আলেসিয়া রুশো এবং স্পেনের মারিয়োনা ক্যালডেন্টি গোল দুটি করেছেন। টাইব্রেকারে বোনমাতি, মারিওনা কালদেন্তেই এবং সালমা পারালুয়েলো তিনজনই গোল করতে ব্যর্থ হন।
টুর্নামেন্টে সেরা বোনমাতি দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমি অনেক বড় রকমের ধাক্কা খেয়েছি। সবকিছু দিয়ে লড়েছি। আমি পেনাল্টি মিস করায় দুঃখিত, ইংল্যান্ডকে অভিনন্দন। টুর্নামেন্টে আমরা সেরা দল ছিলাম, কিন্তু সেটার কোনো গুরুত্ব নেই, গোল করাই মূল বিষয়।’
১২০ মিনিটে গোলের লক্ষ্যে স্পেন ২২টি শট নিয়েছে, যেখানে ইংল্যান্ডের শট সংখ্যা কেবল ৮টি। ইংলিশ মেয়েরা কম সুযোগ করতে পেরেও শিরোপা জিতে নিয়েছে। বোনমাতি চোখে ইংল্যান্ড ভালো খেলেনি। পরে তিনি বলেছেন, ‘ইংল্যান্ড এমন একটি দল যারা ভালো না খেলেও জিততে পারে। কিছু দল আছে সুযোগ কম তৈরি করেও ম্যাচ জিতে নেয়।’
টুর্নামেন্টে সেরা বোনমাতি বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে মানসিক ভাবে একদমই ভেঙে পড়েছি, আমরা অনেক পরিশ্রম করেছি এইটার জন্য। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও একি ঘটনা ঘটে ছিল। ৭০ মিনিট পর্যন্ত খেলার নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতেই ছিল। আমরাই ভালো দল ছিলাম। ইংল্যান্ড সুযোগই পাচ্ছিল না। এখানে কাউকে দোষারোপ করা ঠিক হবে না, আমরা একসাথে জিতি, একসাথে হারি।’