প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছে কিশোরী, প্রেমিকের বাবা গ্রেপ্তার

প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছে কিশোরী, প্রেমিকের বাবা গ্রেপ্তার

সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জে এক স্কুলছাত্রী তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার পর ‘অপহরণ’ মামলা দায়েরের ঘটনায় প্রেমিকের বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যদিও স্থানীয়দের দাবি, এটি আদতে অপহরণ নয়; প্রেমঘটিত সম্পর্কের সূত্র ধরে ওই কিশোরী নিজে থেকেই ছেলেটির সঙ্গে পালিয়ে গেছে।

প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছে কিশোরী, প্রেমিকের বাবা গ্রেপ্তারপ্রেমের টানে ঘর ছেড়েছে কিশোরী, প্রেমিকের বাবা গ্রেপ্তার

শনিবার (২ আগস্ট) দুপুর দুইটার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জয়রা এলাকা থেকে প্রেমিক রায়হান হাবিবের (১৯) বাবা মো. শহিদুল্লাহ (৪৩)–কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ছাত্রীর বাবা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিশ্বাস মানিকগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করেন, তার মেয়ে (১৪) মানিকগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী। তাকে জোর করে সিএনজিতে তুলে অপহরণ করে রায়হান ও তার সহযোগীরা।

রফিকুল ইসলামের দাবি, তার মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল রায়হান। তিনি রায়হানের বাবার কাছে বিচার চাইলে শহিদুল্লাহ উল্টো তার নাবালিকা মেয়েকে ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন।

তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য ভিন্ন। তারা জানান, মেয়েটি ও ছেলেটির মধ্যে আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর আগেও মেয়েটি নিজ ইচ্ছায় তিন বার রায়হানের বাড়িতে গিয়ে উঠেছিল। পরে তিন বারই শহিদুল্লাহ নিজে মেয়েটিকে তার বাবার বাড়িতে পৌঁছে দেন।

শহিদুল্লাহর পরিবারের একজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বলেন, “রায়হান ও ওই মেয়ে একে অপরকে ভালোবাসতো। আগেও মেয়েটি কয়েকবার আমাদের বাড়িতে এসেছে। শহিদুল্লাহ নিজেই তখন মেয়েটিকে বাবার কাছে দিয়ে আসে। এবার তারা নিজেরাই পালিয়ে গেছে। অথচ শহিদুল্লাহকে ধরে নিয়ে জেলে দেওয়া হলো!”

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আমান উল্লাহ বলেন, “মেয়েটির বাবা অপহরণ মামলা করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং শহিদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।”

Scroll to Top