ভারতের মধ্যপ্রদেশে ভোপালের গায়ত্রী নগর এলাকায় ঋতিকা সেন (২৯) নামে এক নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার ‘লিভ-ইন প্রেমিক’ সচিন রাজপুত (৩২)। হত্যার পর মরদেহ কম্বলে মুড়ে একই বিছানায় দুই রাত কাটিয়েছে সচিন রাজপুত।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
হত্যাকাণ্ডটি ঘটে গত ২৭ জুন রাতে। পুলিশের জানিয়েছে, বেকার সচিন সন্দেহপ্রবণ হয়ে পড়েছিল। সে ভাবতেন তার প্রেমিকা ঋতিকা, যিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন, তার বসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এ নিয়ে তুমুল ঝগড়ার একপর্যায়ে সচিন ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
পুলিশ জানায়, সচিন দেহটি সযত্নে কম্বলে মুড়ে বিছানায় রেখেছিলেন এবং ওই ঘরেই থেকেছেন। দুই দিন ধরে মরদেহের পাশেই শুয়েছিলেন তিনি। ওই সময়ে সে আতঙ্ক ও শোকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন এবং প্রচুর মদ পান করেছিল।
গত রোববার পুরোপুরি নেশাগ্রস্ত ও বিপর্যস্ত অবস্থায় সচিন তার বন্ধু অনুজকে হত্যার কথা জানায়। প্রথমে অনুজ বিশ্বাসই করেনি। কিন্তু পরের দিন সকালে সচিন একই স্বীকারোক্তি আবার করে। শেষমেশ সোমবার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টার দিকে অনুজ পুলিশকে খবর দেয়।
পরে বাজারিয়া থানার পুলিশ ভাড়াবাড়িতে গিয়ে ঋতিকার পচনধরা মরদেহ উদ্ধার করে। তখনও সেটি সেই একই কম্বলে মোড়ানো অবস্থায় ছিল, যেমন সচিন বর্ণনা করেছিল।
বাজারিয়া থানার ইনচার্জ শিল্পা কৌরব বলেন, নিহত নারীর নাম ঋতিকা সেন। তিনি সচিন রাজপুতের সঙ্গে লিভইন সম্পর্কে ছিলেন। সচিন বিবাহিত এবং তার দুই সন্তান আছে। গত ২৭ জুন রাতে তাদের ঝগড়া হয়। ঝগড়া বাড়তে বাড়তে সচিন তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর দেহ কম্বলে মুড়ে রেখে একই ঘরে থাকে। মদ পান করে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় বন্ধুকে ঘটনা বলে। বন্ধু প্রথমে গুরুত্ব না দিলেও পরে পুলিশকে জানায়।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, সচিন মধ্যপ্রদেশের বিদিশার সিরোঁজ এলাকার বাসিন্দা। প্রায় ৯ মাস আগে ঋতিকা ও সচিন গায়ত্রী নগরে ওই বাড়িতে ভাড়া নেন। ঋতিকা চাকরি চালিয়ে গেলেও সচিন বেকার ছিলেন এবং দিন দিন তার প্রতি সন্দেহ বাড়ছিল।