
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে খুব একটা ছন্দে নেই লিটন দাস। দেশের অন্যতম সেরা এই ওপেনারের ব্যাটে বড় রানের ছোঁয়া না দেখে রীতিমতো চিন্তিত ক্রিকেটাঙ্গন। বিশ্বকাপে লিটনের ব্যাটে রানের ফোয়ারা দলের জন্য ছিল খুবই দরকার। আজ লিটনের ব্যাট হাসল চেনা কোলকাতায়। প্রাক্তন ভালোবাসা নিয়ে প্রাক্তন কোলকাতায় ছুটে চলে লিটনের ইনিংস। ফর্মের কঠিন সময় পার করে আসা লিটন এই ইনিংস থেকেই পেতে পারেন বড় স্বস্তি। ৪৫ রানের ইনিংস গেয়ে যায় সুরে, ‘সব শীতের শেষে হয়তো বসন্ত আসে না।’
আইপিএলে কোলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলার সুবাদে লিটন দাস হয়ে যান তাদের ঘরের ছেলে। কোলকাতায় মোট পাঁচটি ম্যাচে দলের সঙ্গে ছিলেন লিটন। তবে মাঠে নামার সুযোগ মিলে মাত্র একবার। আইপিএল অভিষেক ম্যাচটা রাঙানো হয়নি উইকেটরক্ষক ব্যাটারের। ব্যাট হাতে চার রান করার পর উইকেটের পেছনেও হন ব্যর্থ।
এবার বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশ দলের সাথে লিটন দাস ফের তার চেনা কোলকাতায়। ইডেন গার্ডেন্সে নেদারল্যান্ডস ম্যাচে মাত্র ৩ রানে আউট হওয়া লিটন আজ পাকিস্তান ম্যাচে ফিরেন ছন্দে। স্ট্রোক্সের ফোয়ারা ছুটিয়ে ছিলেন ফিফটির খুব কাছেই। চোখ ধাঁধানো এক ইনিংস খেলে ফিরতে পারতেন প্যাভিলিয়নে। কিন্তু হঠাতই ছন্দপতন। ইফতিখারের খুব সহজ বলে অবিশ্বাস্যভাবে হারান উইকেট।
তবে এই লিটনই যে স্বস্তি নিয়ে শুরু করেছিলেন ইনিংস। কয়েক সেকেন্ডের মেডিটেশন, এরপর দেখে-শুনে খেলা। লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রানের ইনিংস। ৬৪ বলে খেলা তার ইনিংস গড়া ছয়টি চারে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৮৯ বলে জুটিতে আসে ৭৯ রান। অবিশ্বাস্যভাবে আউট হয়ে লিটন নিজেই অবাক হয়ে যান।
তবে ইনিংস শুরু করতে উইকেটে এসেই লিটন চোখ বন্ধ করে চালিয়ে নেন কয়েক সেকেন্ডের মেডিটেশন। হৃদয় থেকে মন সব জায়াগায় শিথিলতা নিয়ে আসতেই হয়তো লিটন করেন মেডিটেশন এবং এর প্রভাব শরীরে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমানও হয়। দলের বিপর্যয়ে নিজের কাজটা ঠিকঠাকভাবে করে যান। তামিম, শান্তর দ্রুত বিদায় লিটন দাস ব্যাটে আনন্দ ছড়িয়ে ভুলিয়ে দেন সবাইকে। ৪৫ রানের ইনিংস আরও বড় না হলেও লিটনের ফিরে আসার জন্য যথেষ্ট কার্যকারী। কোলকাতা থেকে হয়েছে লিটনের আরও এক বিদায়, এবারও যে সঙ্গী আক্ষেপ।