আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বড় ধরনের আলোড়ন সৃষ্টি করে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশ হিসেবে ইতিহাসে নাম লেখাল মস্কো।
আজ (৪ জুলাই) শুক্রবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে আল জাজিরা জানিয়েছে, কাবুলে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে এক বৈঠকে রুশ রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি ঝিরনোভ এই স্বীকৃতির ঘোষণা দেন। এসময় আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়ার এই সাহসী সিদ্ধান্ত আমাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ইসলামিক এমিরেট অব আফগানিস্তান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে মস্কো-কাবুল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর হবে। জ্বালানি, পরিবহন, কৃষি ও অবকাঠামো খাতে যৌথ উদ্যোগের পাশাপাশি সন্ত্রাস ও মাদক পাচার রোধেও আফগানিস্তানকে সহযোগিতা করবে রাশিয়া।
২০১৮ সাল থেকেই তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করে আসছে রাশিয়া। এমনকি ২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরও মস্কো কাবুলে নিজেদের দূতাবাস চালু রেখেছে। গত বছর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তালেবানকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী মিত্র’ হিসেবে অভিহিত করেন। চলতি বছর দেশটির সুপ্রিম কোর্ট তালেবানকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়, যা এই স্বীকৃতির পথ সুগম করে।
২০২২ সালে আফগানিস্তানের সঙ্গে একাধিক বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করে রাশিয়া। চুক্তির আওতায় তেল, গ্যাস এবং গম সরবরাহে সম্মত হয় মস্কো, যা তালেবান-শাসিত দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক অগ্রগতি হিসেবে দেখা হয়।