প্রথম এসি লোকাল ট্রেনে রয়েছে কোন কোন বিশেষ প্রযুক্তি? জানালেন খোদ লোকো পাইলট

প্রথম এসি লোকাল ট্রেনে রয়েছে কোন কোন বিশেষ প্রযুক্তি? জানালেন খোদ লোকো পাইলট

Last Updated:

What Are The Special Features In First AC Local Train: সব অপেক্ষার সমাপ্তি ঘটিয়ে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে এসি লোকাল ইএমইউ ট্রেন। সবুজ পতাকা নাড়িয়ে ট্রেনটির উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার ও শান্তনু ঠাকুর।

 এসির নিষ্কাসিত জল দিয়ে ট্রেনের কাঁচ মুছে ফেলতে পারবেব লোকো পাইলট! প্রথম এসি লোকাল ট্রেনে রয়েছে কোন কোন বিশেষ প্রযুক্তি? জানালেন খোদ লোকো পাইলট
 এসির নিষ্কাসিত জল দিয়ে ট্রেনের কাঁচ মুছে ফেলতে পারবেব লোকো পাইলট! 

সব অপেক্ষার সমাপ্তি ঘটিয়ে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে এসি লোকাল ইএমইউ ট্রেন। সবুজ পতাকা নাড়িয়ে ট্রেনটির উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার ও শান্তনু ঠাকুর। আপ ও ডাউন মিলিয়ে এক জোড়া ট্রেন পরিষেবা মিলবে শিয়ালদহ থেকে রানাঘাটের মধ্যে । সামনে থেকে দেখলে মনে হবে রেলের ট্র্যাক ধরে ছুটছে মেট্রো। তবে প্রযুক্তিগতভাবে কিছু ফারাক রয়েছে। বাংলার জন্য একটি এসি লোকাল। উদ্বোধনের বাঙলি লোকো পাইলট সৌমেন কুন্ডুর হাতেই ছুটল এ সি লোকাল ট্রেন। কী কী বিশেষত্ব রয়েছে এই ট্রেনে জেনে নেওয়া যাক-

প্রযুক্তিগত ভাবে কতটা শক্তিশালী?

পুরনো নন এ সি লোকালের থেকে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার হওয়ায় এই এ সি লোকালের পাওয়ার অনেক বেশি৷ যত তাড়াতাড়ি স্পিড অর্থাৎ পিক আপ হয় তত তাড়াতাড়ি ব্রেকিং সিস্টেমও কাজ করে।

কী কী ব্যবস্থা রয়েছে এই ট্রেনে? 

অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা, বিপদে গার্ডের সঙ্গে সরাসরি যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য টক ব্যাকিল সিস্টেম, আপতকালীন পরিস্থিতিতে স্লাইডিল ডোর খোলার জন্যে লকিং ব্যবস্থা, বিপদকালীন অ্যালার্ম ব্যবস্থা, প্রতি কোচে সি সি টিভি ক্যামেরা থাকছে।

আর কী রয়েছে এই স্পেশাল এই ট্রেনে?

বড় একটি জানালা রয়েছে এ মেট্রোতে বাইরের দৃশ্য দেখার জায়গা নেই তবে এই ট্রেনে মেট্রোর মতো বড় জানালা দিয়ে যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছবেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে।

প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আরও স্পেশাল কেন এই ট্রেন?

কেবিনের যে এ সি রয়েছে,  সেই এ সি থেকে নিষ্কাসিত জল কেবিনের কাঁচ মোছার জন্য ব্যবহার করা হবে ঘুর পথে পুরোপুরি আধনিক টেকনোলজি ব্যবহার করে সুইচের মাধ্যমে। এটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলা চলে।

ভেস্টিবিউল গ্যাংওয়েতে উপকার কী হবে?

এই ট্রেনে রয়েছে ১২ টি কামরা। প্রতিটি ভেস্টিবিউল গ্যাংওয়ে দিয়ে জোড়া বা সংযুক্ত৷ তার ফলে যাত্রীরা নিজেদের ভিড় বুঝে এক কামরা থেকে আরেক কামরা চলে যেতে পারবেন। এই ট্রেন থামার অপেক্ষা করতে হবে না। অর্থাৎ সুবিধে ও নিরাপত্তা দুটোর কাজেই ব্যবহার হচ্ছে এই ভেস্টিবিউল গ্যাংওয়ে।

চ্যালেঞ্জ কী? কী বলছেন লোকো পাইলট?

এই ট্রেনের স্বয়ংক্রিয় স্লাইডিং দরজা খুলবে সম্পূর্ণ চালকের দ্বারা। তবে মেট্রোর ক্ষেত্রে গন্তব্যে এলে  অটোমেটিক সাইড (ডান বা বাম) ঘোষণা হয় যা রেকর্ড করা থাকে। এ সি লোকালের ক্ষেত্রে চালককে সজাগ থেকে গন্তব্যে বাম ও ডান দিক নির্ধারণ করে তবেই দরজার খোলা ও বন্ধ করতে হবে৷ যা ভীষণ চ্যালেঞ্জিং বলেই মনে করছেন লোকো পাইলটরা।

Scroll to Top