প্রতিদিন মাত্র ১৮১০টি ট্রেনে চেপে যাতায়াত করেন ৩৫ লক্ষেরও বেশি যাত্রী, একপ্রকার বিপাকে পড়েই মুম্বইয়ে অফিসের সময় বদলানোর আর্জি সেন্ট্রাল রেলওয়ের

প্রতিদিন মাত্র ১৮১০টি ট্রেনে চেপে যাতায়াত করেন ৩৫ লক্ষেরও বেশি যাত্রী, একপ্রকার বিপাকে পড়েই মুম্বইয়ে অফিসের সময় বদলানোর আর্জি সেন্ট্রাল রেলওয়ের

সেন্ট্রাল রেলওয়ে দিয়ে প্রতিদিন ১৮১০টি লোকাল ট্রেন চলাচল করে। আর এই ট্রেনের মাধ্যমে ৩৫ লক্ষেরও বেশি যাত্রী যাতায়াত করে। আসলে মুম্বইয়ে যোগাযোগের সস্তা, দ্রুত এবং জনপ্রিয় মাধ্যম হল সেন্ট্রাল রেলওয়ে। ফলে সব সময়ই প্রণ্ড ভিড় থাকে এখানকার ট্রেনগুলিতে। যার জেরে যাত্রীদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়ে যায়।

সেন্ট্রাল রেলওয়ের মতে, সবথেকে ব্যস্ত অফিস সময়ে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস (সিএসএমটি) এবং থানের মধ্যে তুমুল ভিড়ের চাপ থেকে। তবে অফিসের সময় বদলে গেলে এই রুটে ভিড়ের চাপ অনেকটাই কমানো যাবে।

সেন্ট্রাল রেলওয়ের তুমুল ব্যস্ততার সময় কোনগুলি?

সকাল ৮টা এবং সকাল ১০টা

বিকাল ৫টা এবং সন্ধ্যা ৭টা

প্রতিদিন মাত্র ১৮১০টি ট্রেনে চেপে যাতায়াত করেন ৩৫ লক্ষেরও বেশি যাত্রী, একপ্রকার বিপাকে পড়েই মুম্বইয়ে অফিসের সময় বদলানোর আর্জি সেন্ট্রাল রেলওয়ের

কোন কোন অফিসে গিয়েছে সেন্ট্রাল রেলওয়ের চিঠি?

সেন্ট্রাল রেলওয়ের চিঠি গিয়েছে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারি অফিসগুলিতে। এর পাশাপাশি কর্পোরেট অফিস, একাধিক কর্পোরেশন, ব্যাঙ্ক, পুরসভা, কলেজ ইত্যাদির কাছেও পাঠানো হয়েছে চিঠি।

সেন্ট্রাল রেলওয়ের নতুন লাইন কি সম্ভব?

মুম্বইয়ের জনসংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সেই কারণে মূলত লোকাল ট্রেন পরিষেবা উন্নত করতে এবং ভিড়ের চাপ কমাতে নতুন সিআর লাইনের চাহিদাও বাড়ছে। যদিও সিএসএমটি থেকে কল্যাণে নতুন লাইন পাতার কাজে জায়গার ঘাটতি রয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে যে, তাই অফিসের সময় পরিবর্তন করলে ভিড়ের চাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। সেই সঙ্গে মুম্বইয়ের বাসিন্দাদের যাত্রাকেও আরও নিরাপদ এবং আরামদায়ক করা যাবে।

মুম্বরার দুর্ঘটনা:

সম্প্রতি ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস (সিএসএমটি)-গামী ভিড়ে ঠাসা ট্রেন থেকে থানের মুম্বরার কাছে পড়ে গিয়েছেন ৮ জন যাত্রী। সেই কারণে রেলবোর্ডের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, এখন মুম্বই শহরতলির জন্য নির্মাণের আওতায় থাকা সমস্ত রেকেই স্বয়ংক্রিয় দরজা বা অটোমেটিক ডোর ক্লোজার ফেসিলিটি রাখা হবে। এই ঘটনাটি রেলওয়ের ২০ বছরের ভয়ঙ্কর ট্র্যাক রেকর্ডের এক খারাপ স্মৃতি বহন করছে – ২০০৫ সাল থেকে ২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত ৫১,৮০২ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

এই ৫১,৮০২ জন মৃতের মধ্যে ওয়েস্টার্ন রেলওয়ের ২২৪৮১ জন যাত্রী এবং সেন্ট্রাল রেলওয়ের ২৯৩২১ জন যাত্রী রয়েছেন। তবে মৃত্যুর হার সবথেকে বেশি কল্যাণ, থানে, ভাসাই এবং বোরিভলি  – এই চারটি স্টেশনে। ভিরারের একজন যাত্রী যতীন যাদবের একটি আবেদনের জবাবে বোম্বে হাইকোর্টে একটি হলফনামায় ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে এবং সেন্ট্রাল রেলওয়ে তথ্য জমা করেছিল।

রেলওয়ের বলি:

মুম্বইয়ের শহরতলির রেলওয়ে-তে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলির মধ্যে অন্যতম হল:

১. লাইন পারাপার করতে গিয়ে মৃত্যু: 

২০২৩ সালে লাইন পারাপার করতে গিয়ে সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে থানেতে। যার সংখ্যা ১৭৯। এর পরেই রয়েছে বোরিভলি (১৫৪)। ২০২৪ সালেও আবার এক্ষেত্রে শীর্ষে ছিল থানে (১৫১)। আর তার পরেই ছিল বোরিভলি (১৩৭)।

২. ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু: 

২০২৩ সালে ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কল্যাণ (১১৪)। এর পিছনেই রয়েছে ভাসাই (৪৫)। ২০২৪ সালেও একই রেকর্ড দেখা গিয়েছে। কল্যাণে ট্রেন থেকে পড়ে সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে। যার সংখ্যা ১১৬। আর ভাসাই (৪৫) রয়েছে এরপরেই।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/

প্রতিদিন মাত্র ১৮১০টি ট্রেনে চেপে যাতায়াত করেন ৩৫ লক্ষেরও বেশি যাত্রী, একপ্রকার বিপাকে পড়েই মুম্বইয়ে অফিসের সময় বদলানোর আর্জি সেন্ট্রাল রেলওয়ের

Scroll to Top