ডিসেম্বর মাসের শেষদিকে শুরু হওয়া শৈত্যপ্রবাহ এখন পৌষ মাসে প্রবলভাবে বিরাজ করছে। দেশব্যাপী তীব্র শীতের প্রভাব দিন দিন বাড়ছে, এবং ঠান্ডায় কাঁপছে জনগণ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা নেমে এসেছে সর্বনিম্ন স্তরে, যার ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্ব এবং মধ্যাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। বিশেষত পঞ্চগড়, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুরসহ সীমান্তবর্তী এলাকায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। অন্যান্য অঞ্চলেও তাপমাত্রা ১২-১৪ ডিগ্রির মধ্যে রয়েছে, যা শীতের প্রকোপকে আরও তীব্র করেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমে যেতে পারে এবং দেশের অনেক এলাকায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এই পরিস্থিতিতে শীতজনিত রোগ-বালাই যেমন ঠান্ডা-জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্টের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
এই শৈত্যপ্রবাহের কারণে কৃষকদের জন্যও বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে সবজি, সরিষা, গমসহ শীতকালীন ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চলে তীব্র শীতের কারণে ফসলের শিকড় শক্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা কৃষি উৎপাদনে প্রভাব ফেলতে পারে।
থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলছে। শিশু, বৃদ্ধ, এবং শারীরিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিদের আরও বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, শীতের সময়ে যথেষ্ট পরিমাণে গরম কাপড় পরিধান, সুষম খাদ্য গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি।
শীতকালীন কুয়াশার কারণে অনেক অঞ্চলে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় সড়ক, রেল ও নৌপথে চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। তাই যাত্রীদের নিরাপদভাবে যাত্রা করতে, ট্রাফিক নির্দেশনা মেনে চলা এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ ও সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ।