পুলিশ পরিচয়ে খাদ্য পরিদর্শক অপহরণ, সাড়ে ৫ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার

পুলিশ পরিচয়ে খাদ্য পরিদর্শক অপহরণ, সাড়ে ৫ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার

জুমবাংলা ডেস্ক : অপহরণের সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে খুলনায় সুকান্ত কুমার মজুমদার নামের একজন খাদ্য পরিদর্শককে উদ্ধার করেছে খুলনা মেট্রোলিটন পুলিশের (কেএমপি) এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি যৌথ টিম। রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় তাকে জেলার তেরখাদা থানার আজোগড়ার একটি স্কুলের সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয়। তবে কোনো অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ পরিচয়ে খাদ্য পরিদর্শক অপহরণ, সাড়ে ৫ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধারপুলিশ পরিচয়ে খাদ্য পরিদর্শক অপহরণ, সাড়ে ৫ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার

রবিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় নগরীর খুলনা থানাধীন চার নম্বর ঘাটে এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করে কয়েকজন ব্যক্তি।

পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযানে নামে এবং সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে উদ্ধার করে। কেএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এটি নিশ্চিত করেছেন।

তেরখাদার আজোগড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আব্দুর রহিম বলেন, অপহৃত খাদ্য পরিদর্শককে রাস্তায় পাওয়া যায়। তাকে খুলনা নগর ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ নিয়ে গেছে।

এর আগে নগরীর ৪ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে রবিবার (১৩ জুলাই) আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার দিকে খাদ্য পরিদর্শক সুশান্ত কুমার মজুমদারকে পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ করা হয়। পথচারীদের ধারণকৃত মোবাইলের ভিডিওতে এমনটি দেখা যায়। এ ছাড়া অপহৃত খাদ্য পরিদর্শকের স্ত্রীর দায়েরকৃত একটি অভিযোগ থেকেও এমনটি জানা যায়। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানায় এ অভিযোগটি দায়ের হলে পুলিশসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অভিযানে নামে এবং তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হোসাইন মাসুম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

অপহৃত খাদ্য পরিদর্শকের স্ত্রী মাধবী রানী মজুমদার খুলনা থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, মো. রেজা ও বাবু মন্ডল নামের দুই ব্যক্তি এবং সঙ্গে আরো তিনজন তাকে অপহরণ করে। সুশান্ত কুমার মজুমদার ৪নং ঘাটের খাদ্য পরিদর্শক ও ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ইতিপূর্বে বাবু মণ্ডল উক্ত পরিদর্শকের নিকট কয়েকবার টাকা দাবি করে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু খাদ্য পরিদর্শক সুশান্ত কুমার মজুমদার উক্ত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান।

Scroll to Top