পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে মস্কো যাচ্ছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী – DesheBideshe

পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে মস্কো যাচ্ছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী – DesheBideshe


পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে মস্কো যাচ্ছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী – DesheBideshe

তেহরান, ২২ জুন – নতুন দিকে মোড় নিয়েছে ইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত। টানা ৯ দিন বিভিন্ন হুমকি-ধমকির পর অবশেষে এ সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ‘পরম বন্ধু’ ইসরায়েলের ডাকে সাড়া দিয়ে ইরানের বড় তিন পারমাণবিক স্থাপনায় একযোগে ভয়াবহ ক্লাস্টার বোমা হামলা চালিয়েছে দেশটি। হামলায় ব্যবহার হয়েছে ভয়ংকর বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান।

ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের ভয়াবহ এ হামলার পর এবার শক্তিশালী বন্ধু প্রয়োজন হয়ে পড়েছে ইরানেরও। এ অবস্থায় রাশিয়া যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। সেখানে আগামীকাল (২৩ জুন) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

রোববার (২২ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

মার্কিন হামলার পর এদিন তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে এক নিউজ কনফারেন্সে আব্বাস আরাগচি বলেন, রাশিয়া ইরানের বন্ধু এবং আমাদের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্ব রয়েছে। আমাদের অবস্থান নিয়ে সবসময়ই আমরা একে অপরের সঙ্গে পরামর্শ করি।

এ সময় তিনি রাশিয়ার জেসিপিওএতে স্বাক্ষরের বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। একইসঙ্গে বলেন, সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ করা হবে এবং আমরা একে অপরের সঙ্গে কাজ করে যাব।

মার্কিন হামলার পর আলোচনার টেবিলে ফিরতে ইরানের পক্ষ থেকে কী কী শর্ত থাকবে জানতে চাইলে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে কূটনীতির টেবিলে ফিরে যাওয়া অপ্রাসাঙ্গিক। আমরা কূটনৈতিক পর্যায়ে মাঝামাঝি অবস্থানে ছিলাম। কিন্তু ইসরায়েল হামলা চালিয়ে সেখান থেকে আমাদের সরিয়ে দিয়েছে। পরবর্তীতে পারমাণবিক কর্মসূচিতে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রেও আমরা মাঝামাঝি অবস্থানে ছিলাম। দুই দিন আগেও জেনেভাতে তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু মার্কিন হামলার মাধ্যমে সেই আলোচনাও এখন ক্ষীণ হয়ে পড়েছে। সুতরাং কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নিয়ে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রসঙ্গত, শনিবার (২২ জুন) রাতে ইরানের বড় তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা—ফর্দো, নাতানঞ্জ এবং ইস্পাহানে হামলা চালায় মার্কিন বোমারু বিমান। পরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইরানে চালানো এ হামলাকে ‘অসাধারণ সামরিক সাফল্য’ বলে মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এ সময় ইরানকে সতর্ক করে ট্রাম্প বলেন, হয় শান্তি আসবে, নয়তো ইরানের জন্য আরও অনেক বড় ট্র্যাজেডি হবে, যা আমরা গত আট দিনে দেখেছি। মনে রাখবেন, এখনও অনেক লক্ষ্যবস্তু বাকি আছে। আজ রাতটি ছিল তাদের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন এবং সম্ভবত সবচেয়ে মারাত্মক। কিন্তু যদি শান্তি দ্রুত না আসে তবে আমরা নির্ভুলতা, দ্রুততা এবং দক্ষতার সাথে অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে যাব।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, এ হামলার উদ্দেশ্য ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ সক্ষমতা শেষ করে দেওয়া; সন্ত্রাসের মদদদাতা বিশ্বের এক নম্বরে থাকা দেশটির পারমাণবিক হুমকি থামিয়ে দেওয়া।

সূত্র: আরটিভি নিউজ
আইএ/ ২২ জুন ২০২৫



Scroll to Top