পিচের আচরণ বদলে গেছে, বলছেন সিমন্স | চ্যানেল আই অনলাইন

পিচের আচরণ বদলে গেছে, বলছেন সিমন্স | চ্যানেল আই অনলাইন

কলম্বো টেস্টের প্রথমদিনে ব্যাটিং ব্যর্থতা দেখেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন সকালে ২৪১ রানে গুটিয়ে যায় টাইগারদের প্রথম ইনিংস। সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডের উইকেটে রান পেতে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের বেগ পেতে হলেও সাবলীল ব্যাটিং করছে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় দিনে লঙ্কানদের বিপক্ষে ৭৮ ওভার বল করে কেবল দুটি উইকেট নিতে পেরেছে টিম টাইগার্স। এর ব্যাখ্যা- পিচের আচরণ বদলে গেছে, মনে করছেন বাংলাদেশের কোচ ফিল সিমন্স।

টসে জিতে আগে ব্যাটে নেমে বাংলাদেশ ৭৯.৩ ওভারে ২৪১ রানে থামে। জবাবে ৭৮ ওভারে ২ ‍উইকেটে ২৯০ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। ৪৩ রানে এগিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন ১৪৬ রান করা পাথুম নিশাঙ্কা ও ৫ রান করা প্রবাথ জয়সুরিয়া।

দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে ফিল সিমন্স উইকেটের আচরণে পরিবর্তনের কথা বললেন। বলেছেন, ‘উইকেট এখন বেটার (ব্যাটিংয়ের জন্য)। প্রথমদিন এটা স্টিকি ও গতির কিছুটা তারতম্য ছিল। আজকে তা অনেক ভালো হয়ে গেছে। আমরা দেখেছি ব্যাটারদের জন্য কতটা সহজ ছিল। গতকালের মতো টার্ন ছিল না, ব্যাটাররাও ভালো করেছে। কখনো কখনো টেস্ট ক্রিকেট এমনই।’

উইকেটের আচরণ পরিবর্তনের কথা বললেও ব্যাটিং ব্যর্থতার বিষয়টি মানছেন ক্যারিবীয় কোচ। বলেছেন, ‘গতকালের ব্যাটিং এবং জুটি আমাদেরকে বেশ ভুগিয়েছে। বড় জুটি গড়তে পারিনি। এজন্য আজকে আমাদের দুই উইকেট হাতে নিয়ে নামতে হয়েছে। এই কারণেই আজকে আমরা ব্যাট করছি না।’

ব্যাটারদের লম্বা ইনিংস খেলা দরকার ছিল বলছেন সিমন্স, ‘আমার মনে হয় অন্তত ২-৩ জন ব্যাটারের উচিত ছিল লম্বা ইনিংস খেলা এবং দলের রান বাড়িয়ে নেয়া। নিশাঙ্কা আজকে এটা করে দেখিয়েছে। আশা করি এটা মনে রাখব নিশাঙ্কা কত ভালো ব্যাট করেছে আর পরের ইনিংসে বড় রান করার লক্ষ্য নির্ধারণ করব।’

সব মিলিয়েই আজকের দিনটা কঠিন ছিল, মনে করেন সিমন্স। বলেছেন, ‘আমার মনে হয় এটা কঠিন দিন ছিল। উইকেট অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছিল। আজকে ব্যাট করার জন্য ভালো ছিল। আমাদের উইকেট পেতে ভুগতে হয়েছে, ভালো উইকেটে যেটা প্রত্যাশিতই। এজন্য এটা বোলারদের কঠিন দিন ছিল।’

তৃতীয়দিনের পরিকল্পনার কথায় সিমন্স বলেছেন, ‘আমরা কাল ফিরে আসব, দেখব উইকেট কেমন আচরণ করে, আর নিশ্চিত করব যেন ভালো জায়গায় বল করি। আজকে সকালে যেমন শুরু করেছি তেমন হলে হবে না, অনেক ভালো করতে হবে। আর আমাদের এমন জায়গায় নিয়ে যেতে হবে, যেখান থেকে উইকেট পাওয়া যাবে।’

Scroll to Top