Last Updated:
জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সম্মতিতে এই ব্যবস্থা চালু করছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। এই ব্যবস্থার দরুণ ভোটার কার্ড বেহাত হওয়া থেকে আটকানো যাবে বলেই সিইও দফতরের আধিকারিকেরা মনে করছেন।

কলকাতা: ভোটার কার্ড নিয়ে আরও কড়া রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। এবার ভোটার কার্ডে ও ট্রাকিং সিস্টেম। পাসপোর্টের মতো ভোটার কার্ডের জন্য ট্র্যাকিং সিস্টেমের ব্যবস্থা করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।
কমিশন সূত্রে খবর, ভোটার কার্ড পাওয়ার জন্য আবেদন করার পর পরই সেই কার্ডের স্ট্যাটাস জানা যাবে এসএমএস মারফত। ভোটারের তরফে দেওয়া নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বরে চলে আসবে এসএমএস।এতদিন পর্যন্ত ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করলে তার ভোটার কার্ডের কী স্ট্যাটাস তা জানতে পারতেন না ভোটাররা। এবার থেকে কোনও অফিসারের কাছে বা তার ভোটার কার্ড পোস্ট অফিস থেকে স্পিড পোস্টে পাঠানো হয়েছে নাকি প্রতিমুহূর্তে স্ট্যাটাস দেবে ট্রাকিং সিস্টেম। এর দরুণ কোনও নতুন ভোটার যদি কার্ড না পেয়ে থাকেন তাহলে সেই স্ট্যাটাস থেকে সহজেই তিনি তার কার্ডটি কোথায় আছে তা চিহ্নিত করতে পারবেন।
ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার থাকার ঘটনায় চার সরকারি আধিকারিককে সাসপেন্ডের নির্দেশ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। সূত্রের খবর সেই নির্দেশ মানবে না বলে জানিয়েছে রাজ্য। কমিশনের ব্যাখ্যা, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ সারা বছর হতে পারে। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। যখন ভোটার তালিকা সংযোজন বা সংশোধনের কাজ হয় তখন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে থেকেই কাজ করতে হয়। তার দায়বদ্ধতা নির্বাচন কমিশন এর উপর থাকে। সংবিধান ৩২৪ বলছে ভোটার তালিকা তৈরি করা ও নির্বাচন সংগঠিত করা। সেই কাজে লোক দিতে বাধ্য রাজ্য। জবাব দিতে বাধ্য মুখ্য সচিব। এক্ষেত্রে জবাবে সন্তুষ্ট না হলে বা কোন ব্যাখ্যা না পেলে তার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে পারে কমিশন। এমন আইন নেই নির্বাচন ঘোষনা করলে তবেই কমিশনের ক্ষমতা থাকবে। কমিশন আর ERO এর মাঝে আর কেউ নেই। এমনটাই ব্যাখ্যা কমিশনের।
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal
August 07, 2025 12:54 PM IST