মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে শুক্রবার ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানে হামলা কমানোর জন্য ইসরায়েলকে চাপ দেবেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যে সাংবাদিকদের মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি মনে করি, এ মুহূর্তে এমন ধরনের অনুরোধ করা খুবই কঠিন। পরাজিত হচ্ছে এমন কাউকে অনুরোধ করার চেয়ে, জয়ী হতে যাচ্ছে এমন কাউকে এ অনুরোধ করাটা একটু বেশি কঠিন।’
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের সমালোচনাও করেন ট্রাম্প। গত মার্চে গ্যাবার্ড বলেছিলেন, ২০০৩ সালে নিজেদের পরমাণু প্রকল্পগুলো স্থগিত করার পর ইরান তা আর শুরু করেনি বলে জানতে পেরেছে মার্কিন গোয়েন্দ সংস্থাগুলো। এ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, তুলসী গ্যাবার্ড ভুল বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য ভুল।
তবে পরে অবশ্য ভিন্ন কথা বলেছেন তুলসী গ্যাবার্ড। ট্রাম্পের সমালোচনার পর তিনি বলেন, ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে তিনি যেসব কথা বলেছিলেন, তা সংবাদমাধ্যমগুলো ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে। তিনি বিশ্বাস করেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম ইরান।
ইরানের পরমাণু প্রকল্পগুলো নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। গতকাল স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, রাশিয়া বারবার ইসরায়েলকে জানিয়েছে যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে—এমন কোনো প্রমাণ নেই। রাশিয়া ইরানকে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি উন্নয়নে সহায়তা করতে প্রস্তুত।
এমন পরিস্থিতিতে যদি ইরানের পরমাণু প্রকল্পকে অজুহাত দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতে যোগ দেয়, তবে তা ‘খুবই বিপজ্জনক’ হবে বলে মনে করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। তিনি বলেন, ইরানের পরমাণু অস্ত্রের বিষয়ে ওয়াশিংটন এখনো কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি। নিজেদের পারমাণবিক প্রকল্পগুলো নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে প্রস্তুত রয়েছে ইরান।