পানি বিক্রির টাকা দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয় সাইফুল ইসলামের

পানি বিক্রির টাকা দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয় সাইফুল ইসলামের

পানি বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁদের নির্দিষ্ট স্থায়ী গ্রাহক থাকে। এর বাইরে রাস্তাঘাটে পানি বিক্রি করেন। যে বিক্রেতার স্থায়ী গ্রাহক বেশি, তাঁর আয়ও বেশি। অন্যের বাড়ি থেকে পানি কিনে বিক্রি করতে হয় তাঁদের। এতে আয়ের একটি অংশ দিয়ে দিতে হয়। সরকারিভাবে তাঁদের নির্দিষ্ট একটি গভীর নলকূপ ও পাম্পের ব্যবস্থা করে দিলে আয় থেকে কিছু টাকা অন্তত জমানোর ব্যবস্থা করা যেত।

সাইফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁর এক মেয়ে আছে। মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন নিজের জমানো টাকা দিয়ে। এখন স্ত্রী আছেদা বেগমকে (৫৫) নিয়েই তাঁর সংসার। স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে থাকেন। তিনি থাকেন সিলেটে। তবে মাসে কিংবা দুই মাসে বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে দেখে আসেন। পানি বিক্রি করে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করতে পারেন। তিনি বলেন, আগে নলকূপ চেপে বালতি ভরে কাঁধে করে পানি বয়ে নিয়ে বিক্রি করতেন। এ জন্য পরিশ্রম বেশি ছিল। তবে কম বয়স হওয়ায় তেমন গায়ে লাগেনি। এখন গভীর নলকূপে পাম্পে সুইচ টিপলে পানি পড়ে। সেই পানি পাইপ দিয়ে ঠেলায় থাকা পাত্রে ভরে নিতে হয়। কষ্ট কমে আয় বেড়েছে। কিন্তু বর্তমানে নিত্যপণ্যের যে দাম, তা দিয়ে কুলানো বেশ কষ্টের।

Scroll to Top