সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিষয়টি জানার পর পাটগ্রাম উপজেলা বিএনপির নেতারা ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে বিএনপিকে জড়িয়ে নানা ধরনের সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে, যা বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের ফেসবুকে দেওয়া পোস্টকে ‘অনভিপ্রেত, উদ্দেশ্যেমূলক ও দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করা হয়।
রাজীব প্রধান বলেন, ‘ঘটনাটি নিছক ইজারাদার ও প্রশাসনের মধ্যকার বিষয়। যার সঙ্গে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির ন্যূনতম সংশ্লিষ্টতা নেই। বিএনপি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চায়, দলের নাম ভাঙিয়ে কোনো ব্যক্তির অপকর্মের দায় বিএনপি অতীতেও নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কোনো অপকর্মের দায় বিএনপির ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করলে তা দুঃখজনক হবে।’ তিনি বলেন, এ ঘটনা তদন্তে জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি কে এম হুমায়ুন রেজাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। তাঁদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে হাতীবান্ধা থানার সামনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ব্যারিকেড দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে রাজীব প্রধান কোনো মন্তব্য করেননি। পরে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ওই বিষয়টি তাঁর নজরে আসেনি। কারা, কী জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তাঁর জানা নেই।