বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় সফররত পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। বৈঠক শেষে দলীয় প্রতিনিধিরা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে পাকিস্তান হাইকমিশনে বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন ইসহাক দার। এর আগে বিকেলে রাজধানীর গুলশানে পাকিস্তান হাইকমিশনে প্রথমে এনসিপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এরপর জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সাথে বৈঠক করেন তিনি।
বিএনপির ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।

এর আগে বিকেলে জামায়াতে ইসলামীর পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন ইসহাক দার। বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্ব দেন দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।

জামায়াতের আগে ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল। এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকের আলোচনা প্রসঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির বলেন, দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়, আঞ্চলিক বাণিজ্য এবং কীভাবে সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করা যায়, এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী দিনে ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় এবং আঞ্চলিক জোট সার্ককে কীভাবে আরও সক্রিয় ও শক্তিশালী করা যায়, এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ছিল একপেশে। আমরা মনে করি, সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক থাকা দরকার। সেটার ব্যাপারে বৈঠকে দুই পক্ষের তরফেই জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক বৃদ্ধির দিকে জোর দিয়ে আমরা বলেছি- আজকে সারা বিশ্বে যেসব সমস্যা হচ্ছে, বিশেষ করে ফিলিস্তিনের সমস্যা- এসব বিষয়ে যেন মুসলিম দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেয়, সেই আলোচনাও আমরা করেছি।
বৈঠক শেষে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসে বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশের জনগণের চিন্তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আগে যে শত্রুভাবাপন্ন সম্পর্ক ছিল, সেখান থেকে উন্নতির সুযোগ আছে। এ সময় একাত্তরের ইস্যু অবশ্যই ডিল করা উচিত।

বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে জানিয়ে আখতার হোসেন বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ যেসব বিষয় উন্নয়ন করা যায়, সে বিষয়ে কথা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যকার সম্পর্ক হবে ভ্রাতৃত্বের, কোনো আধিপত্য থাকবে না।
উল্লেখ্য, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে তার বাসভবনে যাবেন বাংলাদেশ সফররত পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। আগামীকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে যাবেন বলে জানা গেছে।