পর্যটকদের ফেলে রাখা বর্জ্যে বরগুনার তালতলী উপজেলার শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা না নিলে শুভসন্ধ্যা হারাবে সৌন্দর্য ও পর্যটক কমবে বলে আশাঙ্কা করছেন সচেতন মহল। তবে প্রশাসন বলছে সমস্যার স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।
জানা গেছে, জেলার একমাত্র পর্যটন খ্যাত উপজেলা হচ্ছে তালতলী। এ উপজেলায় বিশাল বনভূমি ও বালুচর নিয়ে শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত পর্যটনকেন্দ্র। যা হয়ে উঠেছে পর্যটকদের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। প্রতিদিন সমুদ্রসৈকতে শত শত পর্যটক আসেন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয় এখানে।
প্রতিদিন বিকেলে সৈকতের মুগ্ধ করা রূপ ও বালুচরে মানুষের ভিড় হয় সবচেয়ে বেশি। আর এই পর্যটকদের সুবিধার্থে এখানে গড়ে উঠেছে ৭/৮টা খাবারের দোকান। সময় কাটাতে এসব দোকান থেকে পর্যটকেরা নানা রকম খাবার কিনলেও এর বর্জ্য সংগ্রহের জন্য সমুদ্রসৈকতে সী বিচে নেই কোনো ডাস্টবিন। তাই পর্যটকেরা খাবারের উচ্ছিষ্ট, প্লাস্টিকের বোতল, প্যাকেট ও পলিথিন সৈকতেই ফেলছেন। এতে দূষিত হচ্ছে সৈকতের বালুচর ও প্রাকৃতিক পরিবেশ।
সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসা পর্যটক মো.আবদুল্লাহ্ বলেন, ‘আমি প্রায় মাসেই এই শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসি। সমুদ্র সৈকতের পাশেই পর্যটকদের বর্জ্য ফেলে রাখা হয়েছে। যার কারণে সৈকতের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এতে শুভসন্ধ্যা তার সৌন্দর্য হারাবে, কমবে পর্যটক। দ্রুত এখানে ডাস্টবিনের ব্যবস্থার করার দাবি করছি।’
শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতে নিয়ে ব্র্যান্ডিং বিষয়ে কাজ করা ফটো সাংবাদিক আরিফ রহমান বলেন, ‘প্রতিদিন এখানে যে সকল পর্যটক আসে তাদের ব্যবহৃত প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। সৈকত ও বনভূমিকে দূষণ থেকে বাঁচাতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে চরম ক্ষতির মুখে পড়বে সৈকতের পরিবেশ ও নদী।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, ‘সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য ফেরাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরবর্তী কোনো বরাদ্দ দিয়ে ওখানে স্থায়ীভাবে ডাস্টবিন বসানো হবে।