Last Updated:
প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি করে, বার বার বিভিন্নভাবে বাসিন্দাদের সচেতন করা হয়। কিন্তু তারপরও নাড়া পোড়ানো অব্যাহত রাজ্যের শস্য ভান্ডার পূর্ব বর্ধমান জেলায়।
পূর্ব বর্ধমান: প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি করে, বার বার বিভিন্নভাবে বাসিন্দাদের সচেতন করা হয়। কিন্তু তারপরও নাড়া পোড়ানো অব্যাহত রাজ্যের শস্য ভান্ডার পূর্ব বর্ধমান জেলায়। রায়না, খণ্ডঘোষের বিভিন্ন মাঠে প্রতিদিনই নাড়া পোড়ানোর কাজ চলছে। সন্ধের পর ফাঁকা মাঠের দিকে তাকালে দেখা যাবে বিভিন্ন এলাকায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।
ধান কাটার কাজ প্রায় শেষ। আগে খড়সুদ্ধ ধান বাড়িতে নিয়ে গিয়ে গাদা করে রাখা হত। পরে সুবিধা মতো সেই ধান ঝাড়া হতো। খড় গোরুর খাবার হিসেবে বা ঘর ছাওয়ার কাজে ব্যবহৃত হত। এখন গোরুও নেই, খড়ের চালও নেই। খড়ের তাই চাহিদাও নেই। এখন মেশিনে ধান কাটা ও তা মাঠেই ঝাড়া হয়। এরপর জমি পরিষ্কার করতে শ্রমিক লাগানোর খরচ বহন করতে চাইছেন না কৃষকরা। তার বদলে রাতের অন্ধকারে সেই খড়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নাড়া পোড়ানোর ফলে দূষণ তো হচ্ছেই, তার সঙ্গে জমির উর্বরতা শক্তিও কমে যাচ্ছে। অনেক উপকারী জীবাণু কীট পতঙ্গ সেই আগুনে পুড়ে মারা যাচ্ছে। বার বার বলেও কৃষকদের এই প্রবণতা বন্ধ করা যাচ্ছে না।
নাড়া পোড়ানো আটকাতে কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে ট্যাবলো বের করা হয়েছে। নাড়া পোড়ানো বন্ধ করতে তারা এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করছে। তারপরও প্রতিনিয়ত নাড়া পোড়ানো চলছে পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষ ও রায়নার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। ধান ঝেড়ে নেবার পরবর্তীতে অবশিষ্ট অংশে রাতের অন্ধকারে আগুন লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে।
এর ফলে জমির উর্বরতা নষ্ট হবার পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ যেমন বাড়ছে তেমনি চাষের জমির বন্ধু পোকা নষ্ট হয়ে জমির উর্বরতা শেষ হতে বসেছে। এমন ঘটনা প্রায়শই দেখা যাচ্ছে। কৃষি দপ্তর নিয়মিত প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
খণ্ডঘোষের কৃষি সেচ ও সমবায় দফতরের কর্মাধ্যক্ষ বিদ্যুৎ কান্তি মল্লিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য নাড়া পোড়ানো বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। এর ফলে জমিরও ক্ষতি হচ্ছে। নাড়া পোড়ানো যাতে বন্ধ হয় তার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকারিভাবে প্রচারও চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Kolkata,West Bengal
December 22, 2024 8:44 PM IST