শিল্প কারখানার উপর নতুন করে কর আরোপ করার বিষয়ে পরিকল্পনা ব্যক্ত করেছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ কর মূলত সেসব কারখানাকে দিতে হবে যারা ভূগর্ভের পানি বেশি ব্যবহার করে। তাছাড়া রাসায়নিক ব্যবস্থাপনার উপর নীতিমালা তৈরিতে সরকারের আগ্রহ রয়েছে এবং এ ব্যাপারে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নীতিমালা সংস্কারের কথা বলেছেন । যেমন মুনাফা পাঠানো ও বিদেশী বিনিয়োগ। বাংলাদেশের পক্ষে বর্তমানে ৪০ থেকে ৪৫ বিলিয়ন ডলারের পোশাক বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে।
এসব পণ্য তৈরি করার ক্ষেত্রে যেমন পানি প্রয়োজন হয় তেমনি বিদ্যুৎ-জ্বালানির প্রয়োজন হয়। এখন আমাদের উন্নত পরিবেশবান্ধব সিস্টেম দরকার। শিল্প উৎপাদনের ক্ষেত্রে পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ মনে করে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন টেকসই করতে রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল করা জরুরি। উন্নয়নমূলক পরিকল্পনায় আমরা একসাথে কাজ করতে চাই।’
অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর অব্যবহৃত জমি ১০/১৫ বছর মেয়াদি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে বরাদ্দ হবে বলে জানান বেজা ও বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে দেশে আয়োজন করা হবে আন্তর্জাতিক সম্মেলন।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, ‘বিদেশি বিনিয়োগের মূলধন, মুনাফা ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়ায় জটিলতার আছে। এটা সহজ করতে নীতিমালা সংশোধন করবে সরকার। এছাড়া ১০০ টির পরিবর্তে কয়েকবছরের মধ্যে ৫টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্পায়নে জোর দেয়া হচ্ছে।’
সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরামের ষষ্ঠ আয়োজনে বাংলাদেশের পোশাক খাত নিয়ে সেমিনার, মতবিনিময় ছাড়াও সরাসরি কারখানা পরিদর্শন করবেন সফররত বিদেশি ক্রেতাদের প্রতিনিধিরা।