Last Updated:
পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে দাঁড়িয়েছে যে রাতে কেউ অসুস্থ হলে তাকে ঠিকভাবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। নৌকাও ঠিক মতো পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ

বিপদের মুখে চর এলাকার বাসিন্দারা
জলঙ্গি, মুর্শিদাবাদ, কৌশিক অধিকারী: অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের জেরে নদীর জল ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ফলে চরম সঙ্কটে পড়েছেন চরবাসীরা। নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। অনেক জায়গায় পাড় ছাপিয়ে ঢুকতেও শুরু করে দিয়েছে। এই অবস্থায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে চর পরশপুর, পিরোজপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকার গ্রামগুলি। ভরসা একমাত্র নৌকা।
পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে দাঁড়িয়েছে যে রাতে কেউ অসুস্থ হলে তাকে ঠিকভাবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। নৌকাও ঠিক মতো পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। ফলে হাসপাতালে পৌঁছাতেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কী করে বসবাস করবেন বা দৈনন্দিন কাছ সারবেন তা বুঝে উঠতে পারছে না এখানকার বাসিন্দারা।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি। এর সীমান্ত দিয়েই বয়ে চলেছে পদ্মা নদী। পদ্মা নদী গিয়ে মিশেছে বাংলাদেশে। নদীর মাঝে পলি জমে জমে সৃষ্টি হয়েছে কয়েক কিলোমিটার চর। সেই পিরোজপুর, পরশপুর চরে বসবাস প্রায় কয়েক হাজার মানুষের। যদিও আজও এই চরগুলিতে দৈনন্দিন ব্যাবহারের অনেক কিছুই পৌঁছয়নি। এদিকে বর্ষাকালে পদ্মা নদীর জলস্তর বাড়লে প্রতিবছর জল ঢুকে যায় এখানকার বাসিন্দাদের বাড়িতে। এই বছর বৃষ্টির ফলে পদ্মা নদীর জলস্তর বৃদ্ধির ফলে অসহায় হয়ে পড়েছেন চরের বাসিন্দারা। কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে।
এখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, চরে বিদ্যুতের ব্যাবস্থা নেই। সরকারিভাবে বিদ্যুৎ ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে সোলার প্যানেলের ব্যাবস্থা করেছে সরকার। কিন্তু তবুও সারাদিনে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। এই ব্যাপারে প্রশাসনিক কর্তাদের অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। নদীর জলস্তর বৃদ্ধির ফলে বাড়িতে জল ঢুকে পড়েছে। এই অবস্থায় জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনিক কর্তারা এলাকায় আসছেন না বলে অভিযোগ করা হয়েছে। স্কুল থাকলেও শিক্ষক যেতে পারেন না জল জমে থাকার কারণে। এমনকি নেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সব মিলিয়ে এখানকার প্রান্তিক মানুষগুলো বর্তমান পরিস্থিতিতে আরও অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়ে গেছেন।
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal
August 12, 2025 11:07 PM IST