প্রথম ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৯, পরের ১০ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ৬৩! ২০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১৩২ রান! রানের বিবেচনায় বেশ ভালো, কিন্তু যখন বলা হবে ১৪ ওভারে দাশুন শানাকার দলের ছিল বিনা উইকেটে ১০৩, পরের ছয় ওভারে মাত্র ২৯ রানেই হারিয়েছে ৩ উইকেট, তখন ভালো বলতে কিছুটা ইতস্ততবোধ হলেও হতে পারে।
২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান, পরের ১০ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ৩৭! এই যে শ্রীলঙ্কার রানের গতিটা হঠাৎ করেই কমেছে, সেটা তিন স্পিনার মাহেদি-মিরাজ আর নাসুমের কল্যাণে। প্রথমে নাসুম-মাহেদি জুটি, এরপর মাহেদি-মিরাজ জুটি; তিন স্পিনারের জুটি হিসেবে দারুণ বোলিংয়েই মূলত ব্যাকফুটে গেছে শ্রীলঙ্কা। যেখান থেকে পরবর্তীতে ঘুরে দাড়ানো সম্ভব হয়নি আর। ৫০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কা সংগ্রহ করতে পেরেছে ২৬৩ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেছেন পাথুম নিশাঙ্কা, ৫৫ রান এসেছে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ব্যাট থেকে।
বাংলাদেশের হয়ে শেখ মাহেদি নিয়েছেন তিন উইকেট, ৯ ওভার বল করে খরচ করেছেন ৩৬ রান। এক উইকেট পেলেও মেহেদী হাসান মিরাজ করেছেন মিতব্যয়ি বোলিং; ১০ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৩২ রান। স্পিনারদের মধ্যে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন নাসুম আহমেদ; ৮ ওভারে দিয়েছেন ৫১ রান, সংগ্রহ মোটে ১ উইকেট।
অন্যদিকে পেসারদের মধ্যে কোনো উইকেট না পেলেও তাসকিন আহমেদ ছিলেন অনবদ্য। ৭ ওভার হাত ঘুরিয়ে খরচ করেছেন মাত্র ২৯ রান। বাকিদের মধ্যে শরীফুল ইসলাম ৩৫ রানে নিয়েছেন ১ উইকেট, তানজিম সাকিব ৫.১ ওভারে দিয়েছেন ৩৩ রান, সংগ্রহ ১ উইকেট। সবচেয়ে বেশি হতাশ বোধহয় হাসান মাহমুদ করেছেন। কোনো উইকেট পাননি, উল্টো ৫ ওভারে রান দিয়েছেন ৪৪।