ন্যাটো ব্যয় বাড়ালেই যে ‘সন্ত্রাসবাদ’ প্রতিহত করতে পারবে—এমন ধারণা বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না। আফগানিস্থান ও লিবিয়ায় ন্যাটোর হস্তক্ষেপ অস্থিতিশীলতা বাড়িয়ে দিয়েছে, তাতে ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের’ ব্যর্থতাকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
ন্যাটো যে নিরাপত্তার কথা বলছে, বাস্তবে সেটি তাদের অস্ত্র নির্মাতা কোম্পানিগুলোর নিরাপত্তা। ট্রাম্প চাপ দেওয়ার অনেক আগে থেকেই ইউরোপকে সামরিক খরচ বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন লবিং গ্রুপের মাধ্যমে অস্ত্র কোম্পানিগুলো তদবির চালিয়ে আসছিল। সেই অস্ত্র কোম্পানিগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিরাপত্তার নীতিকে সামরিককেন্দ্রিক করে তুলতে সফল হয়েছে। সামরিক গবেষণা ও সামরিক শিল্পে সরকারি বরাদ্দ তারা বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। সেই বিনিয়োগের সুফল এখন তারা পাচ্ছে।
ন্যাটোর এই নিরাপত্তার ধারণা সামাজিক চাহিদা থেকে অর্থ সরিয়ে নেয়, জলবায়ু সংকটকে আরও তীব্র করে তোলে, অস্ত্র কোম্পানিগুলোকে পুরস্কৃত করে এবং কূটনৈতিক পথের বদলে যুদ্ধকে বেছে নেয়।
নিক বক্সটন, ট্রান্সন্যাশনাল ইনস্টিটিউটের গবেষক
আল-জাজিরা থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে অনূদিত